স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জুন : আগামী জুলাই মাস থেকে চালু হতে চলেছে তিনটি নয়া ফৌজদারি আইন। এই তিনটি আইনের বিরোধিতা করে শনিবার রাস্তায় নামলো আইনজীবীরা। জানা যায়, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে চলেছে এই আইনগুলি। সেদিক থেকে বাতিল হয়ে যাবে ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি, কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর বা সিআরপিসি এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট।
তবে এগুলির পরিবর্তে যে নয়া ৩ আইন সংযোজিত হতে যাচ্ছে। সেগুলি হলো ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। এগুলি কালো আইনের আখ্যা দিলেন এ আই এল ইউ। আগরতলা আদালতের সামনে এদিন দুপুরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আইনজীবীরা। সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব তথা আইনজীবী হরিবল দেবনাথ জানান, কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি ফৌজদারি আইন আনতে চলেছে। এগুলি আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এই আইন গুলি সম্পূর্ণ গণতন্ত্র ও জনগণ বিরোধী। এই আইন গুলি দ্বারা জনগণের সার্বিকভাবে সমস্যা সৃষ্টি হবে।
এ আইনে বলা হয়েছে আসামির যতক্ষণ না বিচার হবে ততক্ষণ নির্দোষ ব্যক্তির জেলে থাকতে হবে। অপরটি হলো পুলিশ কাষ্ঠডির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবং সবচেয়ে উদ্বেগ জনক বিষয় হলো, সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে এবং কালো আইন দ্বারা আটক করতে পারবে। এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ঘটনা। এই আইন গুলি যখন বিল পাস হয় তখন থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন সহ এ আই এল ইউ। দাবি জানানো হয়েছিল আইনজীবী, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট বর্গদের কথা শুনে এই আইন পাস না করার জন্য। কিন্তু সরকার এই কথায় কোন নজর দেয়নি। এবং পার্লামেন্টও বিরোধী দলের সাংসদদের বহিষ্কার করে দিয়ে এক তরফা এই আইন পাশ করে কার্যকর করতে চলেছে। জনগণের কন্ঠ রোধ করতে এই আইন জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেন আইনজীবী। তাই এ আই এল ইউ দাবি করছে এই আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। সর্বভারতীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আজকে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ আন্দোলন সংগঠিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।