স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মার্চ : শনিবার হোলি উৎসবে সামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী বাসভবনে রাজ্যের সকল অংশের মানুষকে নিয়ে হোলি উৎসবে সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে সমস্ত অংশের মানুষ সমবেত হন। এরপর বাহারী রঙের আবির মাখিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে। রাজ্যবাসীকে হোলির শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
হোলি রঙের উৎসব। বন্ধনের উৎসব। ত্রিপুরার সমস্ত অংশের মানুষ একে অপরের সঙ্গে মিলে মিশে চলে শান্তি বজায় রেখে উন্নয়নের রাস্তাকে প্রসস্ত করার আহ্বান জানান তিনি। নাকারাত্মক মানসিকতাকে আজকের দিনে বিসর্জন দিয়ে সাকারাত্মক মানসিকতার উন্মেষ ঘটবে তার আশা ব্যক্ত করেন। কেদ্রীয় প্রকল্প গুলির সুবিধা যাতে সঠিক ভাবে মানুষ পায় এবং রাজ্য সরকারের বাজেটে যে ভাবে রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষের জন্য সুবিধা প্রদান করেছে তারও লাভ যাতে রাজ্যের মানুষ পায় সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখার বার্তা দেন। সাকারাত্মক মানসিকতা নিয়ে জীবনে চলার পরামর্শ দেন । নাকারাত্মক চিন্তা ভাবনা রাখার যে মানসিকতা একটা সময় রাজ্যে ছিল তার থেকে বেরিয়ে এসে জীবনকে সুন্দর তুলবে রাজ্যবাসী তার আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুদূর সোনামুড়া থেকে এসেছেন ধর্মীয় সংখ্যা লঘু অংশের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হোলির উৎসবে সামিল হন তারাও। এক প্রবীন ব্যক্তি জানান শুক্রবার দোলের সঙ্গে গেছে সবে বারাত। দুটি ধর্মের উৎসব একদিনে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি এই উৎসবে সামিল হয়েছেন। রঙের উৎসবে যেভাবে মানুষ মাতোয়ারা হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে রাজ্যের উন্নয়নে সকলে মিলে এগিয়ে যাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
অশুভের বিনাস ঘটিয়ে শুভ শক্তির উন্মেষ ঘটাতেই সকল ধর্মের মানুষ হোলি উৎসবে মেতে ওঠেন। মনের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে সকলে মিলে এই উৎসবে সামিল হবেন বলে জানান মহিলারা। সকলে মিলে যাতে এই হোলির আনন্দ যাতে আগামী বছরও করতে পারেন তাঁর আশা ব্যক্ত করেন তারা। এদিনের হোলি উৎসবে সমস্ত বয়সের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে রং দিতে আসেন। সাধারন মানুষের সাথে এদিন হোলির উৎসবে সামিল হন বিজেপি-র প্রদেশ নেতৃত্ব। এদিন ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সাধারন সম্পাদক টিঙ্কু রায়, প্রদেশ বিজেপি মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী, মহিলা মোর্চার প্রদেশ সভানেত্রী ঝর্না দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। এক আনন্দ মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে এদিন হোলির উৎসবে উদযাপিত হয় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে।