স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মার্চ : ২০২২-২৩ রাজ্য বিধানসভায় বাজেট কালো বাজেট বলে আখ্যায়িত করল প্রদেশ কংগ্রেস। ২৩ -এর নির্বাচনকে সামনে রেখে বাজেট পেশ করার চেষ্টা করেছে সরকার। কিন্তু আসলে বিজেপি সরকার রাজ্যকে ধ্বংস করার আরও এক বড় পদক্ষেপ এই বাজেট। চার বছরে রাজ্যে যে সর্বনাশ বিজেপি সরকার করেছে, এই বাজেটে এর থেকে বড় সর্বনাশ রাজ্যে হবে।
এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। শনিবার দুপুরে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের কাল মাস্ক পড়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল রায়। তিনি জানান, জুমলা সৃষ্টিকারী অমিত শাহ রাজ্যে এসে বলেছিলেন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রথম বছরে ৫০ হাজার চাকরি প্রদান করা হবে। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল রাজ্যে বেকার যুবক যুবতীরা কোন দিশা পায়নি। যুবকদের পেটে খিদে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী দোলের আনন্দে মাতোয়ারা। রাজ্যে গত চার বছরে কত চাকরি হয়েছে তার জন্য শ্বেতপত্র প্রদান করতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান গোপাল রায়। চাকরিচ্যুত ১০,৩২৩ -কে আশ্বস্ত করেছিলেন তাদের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য ভাঁজপা’কে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন নির্বাচনের আগে বিজেপি। বিপ্লব এন কোম্পানির এ ধরনের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি কারণে এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১২৯ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন আত্মহত্যা করেছে। অর্থাৎ ভাজপা সরকার ১২৯ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকার স্থায়ী সমাধান বটতলা শ্মশানে করেছে বলে কটাক্ষ করেন গোপাল রায়। রেগা শ্রমিকদের ৩৪০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু দেখা গেছে শেষ বাজেটেও মজুরি বৃদ্ধির কোন উল্লেখ নেই। একই অবস্থায় রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে। শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ চার বছর আগে বলেছিলেন তিনটি বি এড কলেজ রাজ্যে করা হবে। এখন পর্যন্ত একটি ইট বসে নি কলেজ নির্মাণের জন্য। এই ব্যর্থ সরকারের জন্য কংগ্রেস তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বলে জানান তিনি। আর বলেন বর্তমান নয়া বাজেটে টিএসআর জওয়ানদের রেশন মানি দুশো টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এ বাজেটে। কিন্তু রাজ্য পুলিশ কর্মীদের কেন রেশন মানি বাড়ানো হয়নি। তাই পুলিশকর্মীদেরও রেশন মানি বৃদ্ধি করার দাবি জানান তিনি। একইভাবে নগর উন্নয়ন দপ্তরের জন্য বরাদ্দ অর্থ রাশি এবং এডিসি এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ রাশি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।