স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ জুন : মহিষ পাচারকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে কদমতলা থানাধীন বড়গুল এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায় রবিবার রাতে কদমতলা থেকে ৫টি মহিষ নিয়ে ইছাই টুলগাঁও-র উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল ৪ থেকে ৫ জন ব্যক্তি। বড়গোল এলাকায় যাওয়ার পর কিছু উশৃংখল যুবক মহিষ সহ তাদের আটক করে।
উশৃংখল যুবকরা মহিষের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায়। তখন মহিষের সাথে থাকা সকলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে উশৃংখল যুবকদের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। তারা মহিষের সাথে থাকা ফরিজ উদ্দিনকে আটক করে ফেলে। উশৃংখল যুবকদের মধ্য থেকে এক যুবক ঘটনার বিষয়ে কদমতলা থানার পুলিশকে অবগত করে। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কদমতলা থানার এ.এস.আই জগদানন্দ গোস্বামী। পুলিশ মহিষ সহ ধৃত যুবক ফরিজ উদ্দিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে। উশৃঙ্খল যুবকরা পুলিশকে বাধা দেয়। উশৃঙ্খল যুবকরা মহিষ সহ ধৃত ফরিজ উদ্দিনকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা উশৃঙ্খল যুবকদের হাত থেকে ফরিজ উদ্দিনকে বাচাতে গেলে উশৃঙ্খল যুবকরা পুলিশের উপরও আক্রমণ চালায়। এতে কদমতলা থানার পুলিশ কনস্টেবল সঞ্জীব পাল, ও মহিষ সহ ধৃত ফরিজ উদ্দিন, এএসআই জগদানন্দ গোস্বামী আহত হয়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে কদমতলা থানার সেকেন্ড অফিসারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তাদের উপরও আক্রমণ চালায় উশৃঙ্খল যুবকরা। এতে আহত হয় কদমতলা থানার সেকেন্ড অফিসার, পুলিশ কনস্টেবল শঙ্কু দাস, কনস্টেবল তৈয়ব আলী, কনস্টেবল অনিল কুমার রিয়াং, এসপিও জওয়ান অনিমেষ নাথ ও সুদীপ আচার্য। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশ কনস্টেবল সঞ্জীত পাল এবং মহিষ সহ ধৃত ফরিজ উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কদমতলা সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। কদমতলা থানার সেকেন্ড অফিসার জানান কদমতলা থানার এক কনস্টেবল ও এক এসপিও জওয়ান গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি গোটা ঘটনার বিষয়ে জানান। রাতেই ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে যতটুকু জানা গেছে অভিযুক্ত উশৃঙ্খল যুবকদের আইনের হাত থেকে বাচাতে ইতিমধ্যে এলাকার একাংশ শাসক দলীয় নেতার দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে এখন দেখার পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।