স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জুন : নিট এবং ইউ.জি.সি নেট পরীক্ষার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস এক বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে। প্রদেশ কংগ্রেস ভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কুশ পুত্তলিকা পুড়ানো হয়। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সহ অন্যান্যরা।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, নীট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ যখন সামনে উঠে আসে তখন দেশের মধ্যে প্রথমে আন্দোলন মুখী হয় কংগ্রেস। ত্রিপুরা রাজ্যেও প্রথম অবতীর্ণ হয় যুব কংগ্রেস। এ সরকারটা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সরকার। তাদের একটাই উদ্দেশ্য অর্থ কামাতে হবে। শিক্ষিত বেকাররা গোল্লায় যাক, ডাক্তারের নামে কিছু ভন্ড ডাক্তার বের হয়ে আসুক, ভুল চিকিৎসা হোক, মানুষ মারা যাক, তাতে কিছু আসে যায় না এই সরকারের। তিনি বলেন দ্বাদশ শ্রেণীতে অনুত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীও এই পরীক্ষায় পাশ করে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এর দ্বারা ষ্পষ্ট শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিতে প্রস্তুত এ সরকার। এটা বিরোধীরা হতে দেবে না। তিনি অভিযোগ তুলে আরো বলেন গত সাত বছরে প্রায় ৭০ টির মত প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা সামনে এসেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে সাজা দিতে দেখা যায়নি। তাই এই সরকার ভ্রষ্টাচারের সরকার এবং প্রেতাত্মার সরকার। কারণ এ ধরনের প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনা প্রেতাত্মা ছাড়া সম্ভব নয়।
তাই এ সরকার প্রেতাত্মার পরিচয় দিয়েছে। সুতরাং মোদি সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। তাই ত্রিপুরা থেকে কংগ্রেসের দাবি দেশের বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে পদত্যাগ করতে হবে। এবং পরিক্ষার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে ফল প্রকাশ করতে হবে। যাতে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনা করার সুযোগ পায়। সবশেষে সুদীপ রায় বর্মন বলেন, যুবকদের পক্ষ থেকে এ সরকারের এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য ঘৃণা বর্ষণ করা হচ্ছে।
এদিকে যতদূর জানা যায়, গত মঙ্গলবার দু’টি অর্ধে নেট পরীক্ষা হয়েছিল ৮৮টি বিষয়ে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার’ -এর জাতীয় সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিটিক্স ইউনিট থেকে পাওয়া কিছু তথ্যের ভিত্তিতে পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি নজরে আসে। তার পরেই বুধবার মন্ত্রকের কাছে পরীক্ষা বাতিলের বার্তা পাঠায় আয়োজক সংস্থা ‘ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি’। পাশাপাশি জানানো হয়, নতুন করে আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওই অনিয়ম সংক্রান্ত তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় শিক্ষা মন্ত্রক। সেই মামলাতেই তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।