স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জুন : বি.এস.এন.এল টাওয়ার নির্মাণ কাজের ম্যানেজারের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি মথার চুনুপুটি নেতাদের বলে অভিযোগ। তাদের দাবি অনুযায়ী টাকা মিটিয়ে না দেওয়ায় বাড়িতে ফেরার পথে ধীতিশ্রী কোম্পানির ম্যানেজারকে আটক করে আক্রমণ চালায় এবং নগদ টাকা ও স্বর্নের হার ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে রাজনগর পিআর বাড়ি থানাতে মামলা দায়ের ম্যানেজারের পক্ষ থেকে। কিন্তু পুলিশ ভুমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ বিলোনিয়া আদালতে দ্বারস্থ, দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় আক্রান্ত ব্যক্তি। এদিন চন্দন ত্রিপুরা, পরিমল ত্রিপুরা, ধর্মেন্দ্র ত্রিপুরা ও রাঙ্গা হরি ত্রিপুরার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ম্যানেজার।
কিন্তু সাত দিন অতিক্রান্ত হতে চললো পিআর বাড়ি থানার ওসি আক্রমন কারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তাল বাহানা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। ধীতিশ্রী কোম্পানির ম্যানেজারের নাম রাখাল ভৌমিক। বাড়ি বাইখোরা থানাধীন রামরাই বাড়ি এলাকায়। তিনি বলেন, এই আক্রমনের ঘটনাটি ঘটে গত ১২ ই জুন বিকেলে রাজনগর থানাধীন ওয়াংছড়া স্কুল কর্নার এলাকায়। ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীরা যদি ছুটে না আসতো, তাহলে প্রানে মেরে ফেলত। তিনি সেদিন ওয়াংছড়াতে বিএসএনএল টাওয়ারের কাজ দেখতে যান।
কাজ শেষে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর ওয়াং ছড়া স্কুল কর্ণার এলাকায় অভিযুক্তরা অতর্কিত আক্রমণ সংরক্ষিত করে। চিৎকার চেঁচামেচি করার পর এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে উঠে আসার আগেই নগদ ৬৯ হাজার টাকা ও গলার স্বর্নের হার ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ও শ্রমিকদের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। কর্তব্যরত চিকিৎসক আগরতলা গিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। আগরতলা থেকে চিকিৎসা সেরে বাড়ি আসার পরেও থানায় মামলা রেজিস্ট্রি করে নি পুলিশ। তাই বাধ্য হয়ে এইদিন আদালতে দ্বারস্থ হয় ম্যানেজার। এখন দেখার বিষয় আদালতে মামলা হওয়ার পর অভিযুক্তদের পুলিশ কিভাবে আড়াল করে।