Saturday, October 5, 2024
বাড়িরাজ্যধর্মনগর থানাধীন ডুপিরবন্দ গ্রামে পিতৃ সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ধুমধুমার কান্ড

ধর্মনগর থানাধীন ডুপিরবন্দ গ্রামে পিতৃ সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ধুমধুমার কান্ড

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জুন : ধর্মনগর থানাধীন ডুপিরবন্দ গ্রামে পিতৃ সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ার নিয়ে মারপিটের ঘটনায় থানায় মামলা ও পাল্টা মামলা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম ছাড়া জয়রুন সহ তার পরিবার। স্কুলে রান্নার কাজেও যেতে পারছেন না জয়রুন বিবি। মামলা নিতে অনীহা ধর্মনগর থানার পুলিশের। এমনটাই অভিযোগ জয়রুন বিবি সহ উনার পরিবারের।

অবশেষে মামলা গড়ালো ধর্মনগর আদালতে। অভিযোগ জয়রুন বিবির ভাই মইনুল হক ও মকলিছুর রহমানের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস যাবত স্কুলের রান্নার কাজে যোগ দিতে পারছে না তিনি। স্কুলে গেলেই তাকে মারধর করে বের করে দেওয়ায় আদালতে মামলা করেন তিনি। জয়রুন বিবি জানান, ডুপিরবন্দ গ্ৰামের ৫নং ওয়ার্ডে তার পিতৃ সম্পত্তি রয়েছে। সকল ভাই বোনদের মধ্যে যথারীতি ভাগ হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তার নয় শতক জায়গা ভাই ময়নুল হক ছাড়তে রাজি না হয়ে উল্টো জয়রুন বিবি সহ উনার পরিবারের উপর রড,লাঠি দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রক্তারক্তি কান্ড সংঘটিত হওয়ায় প্রাণের ভয়ে তৎকালীন সময়ে অন্যত্র চলে যায় জয়রুন বিবির পরিবার। পরবর্তী সময়ে যখন আবার নিজের বাড়িতে যান তখন পূনরায় হামলা চালায় বলে অভিযোগ মইনুল হক সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনি একাধিকবার ধর্মনগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ একবারের জন্য মামলা নেয়নি উল্টো তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ তুলেন জয়রুন বিবি সহ তার পরিবার।

অপরদিকে তিনি ডুপিরবন্দ এলাকায় একটি নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ে কুকারের কাজ করেন। সেখানেও উনার কর্তব্যস্থলে গিয়ে মইনুল হক সহ তার সাঙ্গপাঙ্গ একাধিকবার হামলা চালায় বলে জয়রুন বিবি প্রথমে ধর্মনগর বিদ্যালয় পরিদর্শককে লিখিতভাবে জানান। পরে এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি ধর্মনগর আদালতেও সিআর ৬৮/২০২৪ নম্বরে একটি মামলা করেন। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস ধরে তিনি নিজের কর্মস্থলে যেতে পারছেন না প্রাণ সংশয়ের ভয়ে। এই বিষয়ে ধর্মনগর থানার পুলিশ মামলা হাতে না নেওয়ায় তিনি পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।এদিকে উনার ছেলে জসিম মিয়ার অভিযোগ তাদেরকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে পরে একাধিকবার সালিশি সভাও করা হয়। অপরপক্ষের চিকিৎসার জন্য নগদ ৯০ হাজার টাকাও দিয়েছেন তারা। কিন্তু এতে কোন সমাধান হয়নি। বরং উনার ঠিকেদারি কাজের ব্যবহৃত কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের সামগ্রী উনার ঘর থেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এখন দেখার বিষয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য