আগরতলা, ২০ জুন: রাজধানীর বোধজং গার্লস স্কুলে একসঙ্গে কয়েকজন ছাত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা শুনে দ্রুত পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত জিবি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন ছাত্রীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসায় যাতে কোথাও কোন ত্রুটি না থাকে সেই ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য জিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের পুরো ঘটনাটি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এদিনই এই ঘটনার সম্পৃক্ততার জেরে মহারাজা বীর বিক্রম ওয়েলফেয়ার রেসিডেন্সিয়াল হোস্টেলের ওয়ার্ডেন ও কেয়ারটেকারকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে হোস্টেল পরিচালনাকারী মহারাজা বীর বিক্রম ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে বোধজং গার্লস স্কুলের কয়েকজন ছাত্রী। ঘটনার পরপরই এম্বুলেন্স ডেকে অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, অসুস্থ ছাত্রীরা সকলেই ইন্দ্রনগর এলাকায় মহারাজা বীর বিক্রম ওয়েলফেয়ার রেসিডেন্সিয়াল বলে একটি হোস্টেলে থাকতো। পরবর্তীতে এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত হতেই দ্রুত জিবি হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ ছাত্রীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে যান মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সেখানে গিয়ে অসুস্থ ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে জিবি কর্তৃপক্ষকে একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পুরো বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন।
পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে স্কুলে বেশকিছু ছাত্রী পেটে ব্যাথা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এই ঘটনা জানার পরই সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিই। খুব সম্ভব খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে এই ঘটনাটি হয়েছে। আমি আধিকারিকদের বলেছি এই বিষয়ে পুরো রিপোর্ট পেশ করার জন্য। আপাতত ১১ জন ছাত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরমধ্যে ১০ জন বোধজং গার্লস স্কুলের ও ১ জন তুলসীবতি স্কুলের। আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি অসুস্থ ছাত্রীদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় সেটা করা হবে। এছাড়া এই ঘটনা জানার পরই এনএইচএমের পক্ষ থেকে দ্রুত এম্বুলেন্স পাঠিয়ে হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে তাদের চিকিৎসার জন্য সময় ব্যয় হয় নি।