স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ জুন : শীর্ষ আদালত এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশকে গুরুত্ব না দিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের বঞ্চনা করে চলেছে রাজ্য সরকার। রবিবার সি আই টি ও রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিযোগ তুলেন সি.আই.টি.ইউ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত। তিনি বলেন শিশুদের শিক্ষা ও গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিকর খাবারের জন্য ১৯৭৫ সালে আই.সি.ডি.এস প্রকল্প চালু হয়েছিল দেশে। এ প্রকল্প চালু হওয়ার পর বর্তমানে দেশে ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২০৩ জন কর্মী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা পদে কর্মরত রয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্য ১৯ হাজার ৭৪৭ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা রয়েছেন।
তাদের মজুরি অনেক কম। তারা ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর আর দায়িত্ব পালন করতে পারে না। তাই ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের গ্র্যাচুয়িটি প্রদান করার জন্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ত্রিপুরা রাজ্যে কার্যকর না করায় ২০২৩ সালে জুলাই মাসে ২০ জন একটি মামলা করে ত্রিপুরা হাইকোর্টে। তারপর গত ৯ মে ত্রিপুরা হাইকোর্ট রায় দেয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের গ্র্যাচুয়িটি প্রদান করার জন্য। কিন্তু এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের গ্র্যাচুয়িটি প্রদান করা হচ্ছে না। তাই রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি জানানো হচ্ছে ত্রিপুরা রাজ্য যাতে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং সহায়িকাদের গ্র্যাচুয়িটি প্রদান করার জন্য। কারণ ইতিমধ্যে দেশে কিছু কিছু রাজ্যে আদালতে রায়কে মান্যতা দিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের গ্র্যাচুয়িটি প্রদান করা হচ্ছে। তাই রাজ্য দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।