Tuesday, January 21, 2025
বাড়িরাজ্যআগুনে পুড়ে ছাই চিড়া ও মুড়ির ফ্যাক্টরি

আগুনে পুড়ে ছাই চিড়া ও মুড়ির ফ্যাক্টরি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ জুন : রাত সাড়ে এগারোটার নাগাদ রহস্যজনকভাবে আগুনে পুড়ে ছাই কাঠালতলী ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকার চিড়া ও মুড়ির ফ্যাক্টরি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল কর্মীদের সকাল নয়টা বাজে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চিড়ার ফ্যাক্টরিটির। জানা যায় শনিবার রাতে কারখানার মালিক প্রান গোপাল সাহার উপস্থিতিতে একটি গাড়িতে চিরা, মুরি লোড করা হয়।

তারপর কারখানার মালিক ঘরে যান। কিছু সময় বাদে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখতে পান কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় আমতলি থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনীর কর্মীদের। কারখানার মালিক জানান দমকল বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট কালঘাম ছুটে তাদের। কারন গ্যাসের পাইপ লিক করার ফলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিভানোর পর পুনঃরায় আগুন জ্বলে উঠছে। শেষ পর্যন্ত দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও, ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। কারখানার মালিক প্রান গোপাল সাহা জানান অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ৮০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এইদিকে দমকল বাহিনীর এক কর্মী জানান ওনারা খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন। বাধারঘাট, বিশালগড়, মহারাজগঞ্জ, আনন্দনগর ফায়ার স্টেশন থেকে রাতেই এক এক করে দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে।

 প্রতিটি ইঞ্জিন অন্য জায়গা থেকে দুই থেকে তিনবার করে জল নিয়ে এসেছে আগুন নিভানোর জন্য। গ্যাসের পাইপ লিক করার ফলে আগুন লেগেছে। রাতেই টিএনজিসিএল-এর কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে। কিন্তু কোথায় গ্যাসের পাইপ লিক হয়েছে তারাও খুজে পাচ্ছিল না। সব দিকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আপাতত দমকলের দুইটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে। টিএনজিসিএল-এর কর্মীরা রবিবার সকালে জেসিবি দিয়ে মাটি খুঁড়ে কোথায় গ্যাসের পাইপ লিক হয়েছে তা খুজে বের করেছে। গ্যাসের পাইপ লাইন সারাই করছে তারা। এখনো কিছু কিছু জায়গা থেকে ধুয়া উঠছে। তাই দমকলের দুইটি ইঞ্জিন সেখানে আপাতত মজুত রাখা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের আধিকারিক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। গোটা ঘটনা সরজমিনে প্রত্যক্ষ করেন তারা। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান নবাদল বনিক সহ নিগমের আধিকারিকরা। ক্ষতিগ্রস্ত চিরা ও মুরির কারখানা সরজমিনে ঘুরে দেখেন নবাদল বনিক। তারপর তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান ডুকলী শিল্প নগরীতে চিরা ও মুরির দুইটি বড় কারখানা ছিল। এই দুইটি কারখানায় শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দমকল বাহিনীর কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়েছে। দীর্ঘ সময় প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার শিল্প উন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হবে। তারপর ক্ষতিগ্রস্ত দুইটি কারখানার মালিককে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে। রাজ্য সরকার তাদের পাশে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দুইটি চিরা মুড়ির কারখানা থেকে রাজ্যের পাশাপাশি বহিঃরাজ্যেও চিরা মুরি সরবরাহ করা হতো। অগ্নিকাণ্ডের ফলে দুইটি কারখানায় ব্যাপক চিরা মুরি সহ ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে দমকল বাহিনীর কর্মীদের আপ্রান চেষ্টার ফলে আগুন পার্সবর্তি কারখানা গুলিতে ছড়িয়ে পরে নি। অন্যথায় ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ আরও বেরে যেত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য