স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জুন : অন্যান্য রাজ্যের একটি ফুলের বাগান গড়ে তোলা হবে ত্রিপুরা রাজ্যে। এই ফুলের বাগানটি উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ ফুলের বাগান হবে। এর জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। খোয়াই জেলার টাকচাইয়ার তুলাশিখর ফরেস্ট রেঞ্জে গড়ে উঠবে এই ফুল বাগান। এই পাইলট প্রজেক্টটে যদি সফলতা আসে তাহলে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও এমন ফুল বাগান গড়ে তোলা হবে।
এই ফুলবাগান পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য চেষ্টা করা হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা এই কথা জানান। তিনি বলেন জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করা সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সরকারি কাজ করতে রাস্তার পাশে থাকা দীর্ঘ বছর পুরনো গাছ কাটা হয়েছে। কিন্তু গাছগুলি না কেটে রাস্তা সম্প্রসারণ করার মতো কোনো বিকল্প উপায় ছিল না। তাই পরিবেশে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ৫ জুলাই ৫ মিনিটে পাঁচ লক্ষাধিক গাছের চারা রোপন করা হবে। এ বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত স্কুল কলেজ, সামাজিক সংস্থা, সেনাবাহিনী সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মীদের সাথে আলোচনা হয়েছে।
সেদিন এই ৫ লক্ষ গাছের চারা রোপন করা হবে। তারপর গোটা মাস বৃক্ষ রোপনের মাস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সারা বছর এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চলবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, শুধু গাছের চারা রোপণ করলেই চলবে না। এগুলি সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে। যেসব জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হয়ে গেছে সেসব জাতীয় সড়কে দুই পাশে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের চারাও রোপন করা হবে। মন্ত্রী আরো একটি সিদ্ধান্তের কথা বলেন, তিনি জানান বর্তমানে যেসব পার্ক রাজ্যের রয়েছে সেগুলোর মধ্যে নতুনত্ব কোন কিছু না থাকায় মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বিনোদন পার্ক গুলির মধ্যে সামাজিক অনুষ্ঠান করার জন্য মাল্টি ইউটিলিটি হল করে দেওয়া হবে। একই সাথে যেমন হেরিটেজ পার্কের মধ্যে রবীন্দ্র সংগীত, ককবরক মিউজিককে ব্যবস্থা করা হবে। নেহেরু পার্কের মধ্যে একুরিয়াম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এর জন্য দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অন্যান্য আধিকারিক।