Friday, April 19, 2024
বাড়িরাজ্যচা শ্রমিকদের সঙ্গে মত বিনিময় মুখ্যমন্ত্রীর

চা শ্রমিকদের সঙ্গে মত বিনিময় মুখ্যমন্ত্রীর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ মার্চ : মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী আবাসে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। চা শ্রমিকদের কাছ থেকে তাদের সমস্যার সম্পর্কে অবগত হন। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় ৫৪ টি চাবাগান বর্তমানে রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই বেসরকারি। কোন এক সময় বাগানগুলি, তার উৎপাদন এবং ম্যানেজিং ব্যবস্থাপনা রুগ্ন প্রায় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০১৮-র পর বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পর এখন চা বাগানগুলি ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখছে।

 সব চাইতে বেশী অবহেলিত শ্রমিক হচ্ছে চা বাগান গুলিতে কাজ করা শ্রমিকেরা। তাঁর জন্য শ্রমিকদের জীবন মানের সামগ্রীক উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার নতুন প্রকল্প নিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ভূমিহীন শ্রমিকদের তিন গণ্ডা জায়গার ব্যবস্থা করা, সেই জায়গায় প্রধানমন্ত্রী আবাস জোজনায় ঘড়ের ব্যবস্থা করা, অন্তোদ্যোয় কার্ড, পড়াশুনার জন্য প্যারামিটার গুলির উন্নয়ন করা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করা, বিনামূল্যে জল প্রদান, উচ্চ শিক্ষায় ঋনের ব্যবস্থা করা, হেলথ ইন্সুরেন্স তৈরি করে দেওয়া, ভাতা প্রদান করার মত সব গুলি কার্যকর করা হবে। এদিন চা শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।

তাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য যেসব সিদ্ধান্ত ত্রিপুরা সরকার নিয়েছে তা প্রকল্পের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে। এরফলে রাজ্যের রেজিস্ট্রার্ড সাড়ে সাত হাজার চা শ্রমিকরা এই প্রথম তাদের জীবনমান উন্নয়নের দিশা খুঁজে পাবে। এছাড়া যে সমস্ত বাগান মালিকারা দীর্ঘ দিন ধরে বাগান ছেড়ে চলে গেছে, অথচ শ্রমিকদের কোন খোঁজ খবর রাখছে না সেই সমস্ত বাগান গুলিকে কোপারেটিভ করে ম্যানিজিং কমিটি বানিয়ে শ্রমিকদের দ্বারা চালানোর ব্যবস্থা সরকার করছে। একই সঙ্গে যাতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋন পেতে পারে তারও ব্যবস্থা করবে সরকার। এতে বড় মাত্রায় চা বাগানীরা ত্রিপুরায় লাভবান হবে। চা বাগানের শ্রমিকদের জীবন মান কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সেই দিশাতে রাজ্য সরকার কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রিল মাস থেকে চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭৬ টাকা করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। চা স্রমিকের ছেলে টি সি এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে। এটাই রাজ্যের পরিবর্তন বলে জানান তিনি।

৩৭৫ ও আর্টিক্যাল ৩৫-র কারনে কি কি সমস্যার মধ্যে কাশ্মীরিদের পড়তে হয়েছিল তাঁর ইতিহাস মানুষকে জানা প্রয়োজন। নিজের দেসেই কাশ্মীরের পণ্ডিতরা কত অত্যাচারিত হয়েছে। নিজ বাড়ি অন্য কেউ দখল করে রয়েছে। এটা বহু কষ্টের। এগুলি কাশ্মীর ফাইলসে আছে। ইতিহাস এতকাল জানানো হয়নি। আগামী দিনে এই ধরনের অন্যায় গুলির ইতিহাস সামনে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সামাজিক জাগ্রুপতার জন্য এটা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য