Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যজিবি হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সাথে মারপিট সিকিউরিটি গার্ডদের

জিবি হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সাথে মারপিট সিকিউরিটি গার্ডদের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ জুন : আইজিএম হাসপাতালের পর এবার জিবি হাসপাতালে গুন্ডামীর আশ্রয় নিলো এস আই এস নামে সিকিউরিটি গার্ডের সংস্থার কর্মীরা বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে হাসপাতালের রোগীর পরিবার। কারণ রোগীর পরিবারের এক যুবতীকে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বাইরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে মারধর করার মতো ঘটনা হয়তো ভূ- ভারতে নেই। কিন্তু এই ঘটনা সংঘটিত হলো রাজ্যের প্রধান রেফালের হাসপাতালে। ঘটনাটি সংঘটিত করেছে হাসপাতালে এসআইএস -এর সিকিউরিটিরা বলে অভিযোগ।

 ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রবিবার রাজধানীর মধ্য ডুকলি থেকে এক থ্যালাসেমিয়ার রোগীকে জিবি হাসপাতালের মেডিসিন ব্লকে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজনেরা। রোগীটির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওয়ার্ডের ভেতর রোগীর সাথে ছিল তার পরিবারের লোকজন। কিছুক্ষণ পর এস আই এস -এর মহিলা সিকিউরিটি গার্ডরা এসে উত্তেজিত হয়ে পড়ে রোগীর পরিবারের উপর। তখন রোগীর পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলে তখন রোগীর পরিবারের লোকদের ওয়ার্ড থেকে বের করে দিয়ে রোগীর মোবাইল টেনে নিয়ে যায় মহিলা সিকিউরিটি গার্ডেরা। তারপর অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। রোগী পাল্টা প্রতিবাদ জানাতেই রোগীকে হাসপাতালে ওয়ার্ড থেকে টেনে বের করে বাইরে নিয়ে ১০ থেকে ১২ জন মহিলা সিকিউরিটি গার্ড ব্যবহারক মারধর করে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের।

এদিকে এক মহিলা সিকিউরিটি গার্ডের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল সাড়ে আটটা সময় হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলি থেকে রোগীর পরিবারের লোকজনদের বের করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কারণ ৯ টা থেকে চিকিৎসকরা ওয়ার্ড গুলিতে গিয়ে রোগীদের শারীরিক অবস্থা খোঁজখবর নিতে আসে। যদি কোন রোগীর শারীরিক অবস্থা গুরুত্ব হয় তাহলে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করে সেই রোগীর সাথে পরিবারের একজন কিংবা দুজনকে থাকার জন্য দেওয়া হয়। এদিন মধ্যে ডুকলি থেকে যে রোগীটি নিয়ে আসা হয়েছে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাথে দুজনকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই হাসপাতালের ইন্টারশীপ করা রোগীর আত্মীয় যুবতী রোগীর কাছে যায়, তখন তাকে হাসপাতালে ওয়ার্ড থেকে বের হওয়ার জন্য বলা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তারপর সিকিউরিটি গার্ডের সুপারভাইজার সহ পাঁচজনকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। তারপরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে পুলিশ। সিকিউরিটি গার্ডেরা এবং রোগীর পরিবারের লোকজন জিবি পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা করতে যায়। পুলিশ দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে মীমাংসার বার্তা দেয়।

কিন্তু প্রশ্ন হল হাসপাতালে এ ধরনের গুন্ডা গিরি সিকিউরিটি গার্ড সংস্থার দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। রোগী পরিবার পরিজনেরা হাসপাতালে গিয়ে তাদের রক্ত চক্ষুর সম্মুখীন হয়। শারীরিকভাবে এবং মানসিকভাবেও নিগ্রহ হয়। এবং এ ধরনের ঘটনা হাসপাতালে কোন নতুন নয়, বিগত দিনেও এ ধরনের অভিযোগ এস সিকিউরিটি গার্ডদের বিরুদ্ধে লাগাতার উঠে এসেছে। মানুষ অসহায় হয়ে হাসপাতালে পরিষেবা নিতে যায়। কিন্তু এ ধরনের গুন্ডামি করার জন্য তাদের কে নির্দেশ দিয়েছে তা জানা নেই। কিন্তু হাসপাতালের মধ্যে এ ধরনের উত্তেজনা মূলক ঘটনা সংঘটিত করে পরিস্থিতি আতঙ্কিত করে তুলছে তারা। এবং বারবারই এই সংস্থার সিকিউরিটি গার্ড দের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নেই কোন হাসপাতালের আধিকারিক। কিন্তু তারা ভুলেই গেছে সিকিউরিটি গার্ড বলে আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার তাদের কাছে নেই। প্রতিদিন এভাবে রোগীর পরিবার পরিজনদের সাথে ঝগড়া ঝামেলা সৃষ্টি করে হাসপাতালে পরিস্থিতি উত্তেজিত করে তুলছে বলে অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে উঠে আসছে। তবে যতদূর জানা যায়, বিষয়টি মীমাংসের দিকে গড়াচ্ছে। যদি পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত হয় তাহলে বের হয়ে আসতে পারে এ ঘটনার পেছনে কারা মূলত অভিযুক্ত।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য