স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা : ময়দানে নেমে সংঘর্ষ করে প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দিল কংগ্রেস। ৫ রাজ্যের ফলাফল ঘোষণার পর ত্রিপুরায় বিজেপি কর্মীরা উন্মুক্ত হয় মানুষের বাড়িঘরে হামলা করছে। এবং কংগ্রেসের মাইনরিটি চেয়ারম্যান জয়দুল হোসেনের বাড়িতে বিজেপি দুর্বৃত্তরা ১০ মার্চ ভাঙচুর করে। এদিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আগরতলা শহরে ভারতীয় জনতা পার্টি কংগ্রেসের সভায় হামলা চালায়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন বিজেপি কর্মী ও গ্রেফতার হয়নি। এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি ভয়ঙ্কর দিন। মানুষ শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় আছে। কারণ শুধু কংগ্রেস আক্রান্তের শিকার নয়। এ সরকারের আমলে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী-সমর্থকরাও আক্রান্ত হচ্ছে। তাই এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সহসাই রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের কাছে গিয়ে ধর্নায় বসবে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই হুঁশিয়ারি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা।
২২ মার্চ প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত সভা থেকে ধর্নার দিনক্ষণ ঘোষণা দেওয়া হবে। ধর্নার পরেও যদি পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ২৪ ঘন্টার বনধ ডেকে ময়দানে লড়াই করবে কংগ্রেস। আর তারপরেও যদি না দমে তাহলে পুনরায় বনধ ডেকে সংঘর্ষে নামবে কংগ্রেস এবং প্রতিরোধ করবে। কারন অনেক হয়েছে। বহু দলীয় কার্যালয় দখল করে নিয়েছে। কর্মীরা মার খাচ্ছে। এর জন্য প্রত্যেকটি মামলায় দুর্বৃত্তদের নামধাম দিয়ে করা হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করছে না। তাই প্রশাসনকে অবগত করা হচ্ছে যদি এ ধরনের সন্ত্রাস অবিলম্বে বন্ধ না করা হয় কংগ্রেস ময়দানে নামতে বাধ্য হবে বলে জানান তিনি। শ্রী সিনহা আরো জানান, আগামী বিধানসভা নির্বাচন শাসকদলের বিরুদ্ধে সবাই আছড়ে পড়বে। সুতরাং আগামী দিনে জোট হয়ে কংগ্রেস ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে লড়াই করবে তা এখন স্পষ্ট হয়ে যায় বিরজিৎ সিনহার বক্তব্যে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদিকা পূজা রায় চৌধুরী।