স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ জুন : পিস্তল কান্ডে আরো এক যুবতীকে জালে তুলল পুলিশ। জানা যায়, গত ২৪ মে রাতে আগরতলা জিআরপি থানার পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক যুবক ও এক যুবতীকে আগরতলা রেল স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করে। আগরতলা জিআরপি থানার ওসি তাপস দাস ২৪ মে সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন জন শতাবধি এক্সপ্রেসে করে এক যুবক ও এক যুবতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আগরতলা রেল স্টেশনে আসছে। সেই সংবাদের ভিত্তিতে আগরতলা জিআরপি থানার পুলিশ আগরতলা রেল স্টেশনের বিভিন্ন স্থানে ওত পেতে বসে। জন শতাবধি এক্সপ্রেস ৩ নং প্লেটফর্মে আসার কথা থাকলেও জিআরপি থানার পুলিশ রেল স্টেশনের সর্বত্র নজরদারি চালাতে শুরু করে। যথারীতি রাত্রি সাড়ে ১০ টা নাগাদ জন শতাবধি এক্সপ্রেস আগরতলা রেল স্টেশনের পৌছায়। তখন ওত পেতে থাকা পুলিশ কর্মীরা লক্ষ্য করে এক যুবক ও এক যুবতী দ্রুত গতিতে প্লাই ওভারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তাদেরকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশ কর্মীদের। তখন তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করে জিআরপি থানার পুলিশ। তখন তাদের শরীরে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালানোর ফলে উদ্ধার হয় একটি ৯ এম.এম পিস্তল ও দুইটি ম্যাগজিন। সাথে সাথে তাদেরকে আটক করে আগরতলা জিআরপি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে তারা ধর্মনগর থেকে জন শতাবধি এক্সপ্রেসে উঠেছে। তাদের নাম করণ দেববর্মা ও প্রিয়া দেববর্মা।
তাদের বাড়ি খোয়াই জেলায়। ২৫ মে ধৃতদের আদালতে সোপর্দ করে রেল পুলিশ। তারপর তাদেরকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় জিআরপি থানার পুলিশ। আগরতলা জিআরপি থানার ওসি জানান পুলিশ রিমান্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর রেমরেমি দেববর্মা নামে এক যুবতীর নাম উঠে আসে। তার বাড়ি কল্যাণপুর থানা এলাকায়। যথারীতি রেমরেমি দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তিন দিনের পুলিস রিমান্ডের আর্জি জানিয়ে রেমরেমি দেববর্মাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।জানা যায় রেমরেমি দেববর্মাকে খোয়াই থেকে গ্রেপ্তার করে জিআরপি থানার পুলিশ। খোয়াই থানায় রেমরেমি দেববর্মাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর পরবর্তী সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত রেমরেমি দেববর্মা আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে যুক্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখন দেখার রেমরেমি দেববর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ কি তথ্য জানতে পারে।