স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ মে : ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ ও কৃষি ক্ষেত্রে। প্রাথমিক হিসেব অনুসারে বিদ্যুৎ দপ্তরের ৫ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং। তিনি জানান, রেমাল ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ায় রাজ্যে এখন পর্যন্ত কোনও জীবনহানি হয়নি।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের সবকটি জেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সারা রাজ্যে প্রায় ৫৫০ কিমি বিদ্যুৎ পরিবাহী লাইনের ক্ষতি হয়েছে, ৮৫০ টি বিদ্যুতের খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১০০-এর উপর ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে গেছে। বর্তমানে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী সহ ঠিকেদার সংস্থার ৯৯৪ জন কর্মী কাজ করে চলেছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎ খুঁটি সারাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি খুঁটিগুলির সারাই এবং বসানোর কাজও দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। সচিব আরও জানান, সারা রাজ্য থেকে জনসাধারণ তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরে কল করছেন।
সবগুলি কলের সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান করার জন্য দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবাকে স্বাভাবিক করার জন্য বনদপ্তর, এসডিআরএফ, এনডিআরএফ, রাজ্য প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তর মিলিতভাবে কাজ করছে। সাংবাদিক সম্মেলনে স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির স্টেট প্রজেক্ট অফিসার শরৎ দাস জানান, রেমালের প্রভাবে রাজ্যব্যাপী ক্ষতির মূল্যায়ন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সহ প্রশাসন উদ্যোগী রয়েছে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১,৫৭৪টি ঘর রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যব্যাপী বর্তমানে ১২টি ত্রান শিবির চালু রয়েছে। সেখানে ১,২২০ জন অবস্থান করছেন। পাশাপাশি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণেরও কাজ চলছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিষ সরকার।