স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ মে : দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মানব পাচার চক্র। গোপন খবরের ভিত্তিতে এনআইএ নিয়মিত রাজ্যে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশীদের জালে তুলছে। কিন্তু তারপরও নিয়ন্ত্রনে নেই মানব পাচার। মঙ্গলবারও আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী জলিল মিয়াকে এন আই এ -র একটি দল গ্রেফতার করেছে। এর আগেও কয়েকজন মানব পাচারকারীকে এনআইএ গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যায়।
কিন্তু তারপরও মানব পাচার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বুধবার বিকেলে রাজধানীর চন্দ্রপুর আইএসবিটি থেকে তিন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করল পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও একজন মহিলা। অবৈধ ভাবে তারা রাজ্যে আসে। পূর্ব আগরতলা থানার ওসি জানান বুধবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চন্দ্রপুর আইএসবিটি-তে দুই জন পুরুষ ও একজন মহিলা সন্দেহ জনক ভাবে ঘুরাঘুরি করছে। সেই সংবাদের উপর ভিত্তি করে পূর্ব থানার পুলিশ চন্দ্রপুর আইএসবিটি-তে ছুটে যায়। পুলিশ সন্দেহ জনক তিন জনকে আটক করে।
ধৃতরা নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ আব্দুল্লা, আসমাউল হুসনা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর তারা স্বীকার করে তাদের বাড়ি বাংলাদেশি। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভারতীয় ও বাংলাদেশী টাকা উদ্ধার হয়। সুনির্দিষ্ট ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতরা অবৈধভাবে সোনামুড়া সিমান্ত দিয়ে রাজ্যে এসেছে। তাদের সহযোগিতা করেছে দালাল। অভিযুক্ত দালাল গাড়ি দিয়ে তাদের আগরতলা রেল স্টেশনের বাইরে নামিয়ে দিয়ে যায়। কিন্তু রেল না পেয়ে, অটো গাড়ি দিয়ে তারা চন্দ্রপুর আইএসবিটিতে চলে আসে। তারপর তারা চন্দ্রপুর আই এস বি টি থেকে বাস দিয়ে রাজ্যের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তাদের তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন ভারতীয় ৩৩০০ টাকা এবং বাংলাদেশের ১২৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। ধৃত দুই পুরুষ ব্যক্তির পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানানো হয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে ধৃত তিনজন রেল দিয়ে পাঞ্জাব যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।