Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যমৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করলো ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী

মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করলো ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ মে : প্রতিদিন চিনি বুঝাই গাড়ি ছুটছে বক্সনগর সীমান্ত এলাকার দিকে। এবং রাস্তা দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক গতিতে ছুটছে। কিন্তু নির্বিকার স্থানীয় থানার পুলিশ বাবুরা। কোন এক অজ্ঞাত কারণে পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চিনি নিয়ে যাওয়ার ঘটনা। চিনি নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে থাকা মানুষকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িগুলি চলে যাচ্ছে।

 পুলিশ সবকিছু জেনে শুনে নিরব দর্শক। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বক্সনগর মোটর স্ট্যান্ড সংলগ্ন বক্সনগর বাজার রোডস্থিত প্রদীপ সাহার দোকানের সামনে হালকা বাতাসে আম কুড়াতে গিয়েছিল রাম প্রসাদ। বক্সনগর বাজার থেকে আসা একটি চিনি বোঝাই মারুতি গাড়ি রামপ্রসাদ কে সজোরে ধাক্কা মেরে প্রায় পিষে ফেলে।সাথে সাথে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে রাস্তার একপাশে পড়ে যায় অপরদিকে ঘাতক মারুতি গাড়ি ঘটনাস্থল থেকে গা ঢাকা দেয়। এলাকার লোকজন খবর পেয়ে গুরতর যান দুর্ঘটনায় আহত রামপ্রসাদকে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।রাম প্রসাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক রতন দেববর্মা আগরতলা আইএলএস হাসপাতালে রেফার করেন। অপরদিকে ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ কলমচৌড়া থানার ওসি প্রশান্ত কুমার দে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে গাড়ির চালক নিতাই দেবনাথ এবং ঘাতক মারুতি গাড়িকে গ্রেফতার করে আনে। আগরতলা আইএলএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, দুর্ঘটনা আহত রামপ্রসাদ ব্রেইন, লিডার, কিডনি, মেরুদন্ড সমস্ত কিছু তার নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে চিকিৎসা করে বাঁচানো সম্ভব নয়।তাই পরিবারের লোকজন শনিবার রাতে জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

রবিবার সকাল আনুমানিক ৮ টায় তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি ছিল মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি ও আন্দোলন নয়। তবে এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে যে সমস্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ আগামী দিনে যেন বেপরোয়া ভাবে যান চলাচল না করতে পারে।পরিবারের এই দাবি না মেনে মৃতদেহ নিয়ে এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ চার ঘন্টা বিভিন্ন স্লোগানে এবং রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে আন্দোলন করেন। পরে সিপাহীজলা জেলা পুলিশের নির্দেশে বিশালগড় মহকুমার পুলিশ আধিকারিক পান্নালাল সেন এবং সোনামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শশীমোহন দেববর্মা ঘটনাস্থলে এসে মানুষের কথা শুনে অবরোধ তোলেন। আশ্বাস দেন আগামীদিনে এ ধরনের গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে দাবি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়দের প্রশ্ন পুলিশ কি করছে? কার স্বার্থে এভাবে চিনি পাচার হতে দিচ্ছে। এবং চিনি গাড়ির ধাক্কায় মানুষের মৃত্যু হলেও পুলিশ কেন ঘাতক গাড়ি চালককে জালে তুলছে না। এর পেছনে কারা মদত জুগিয়ে চলেছে তা জানতে চাইছে মানুষ। এদিন দীর্ঘক্ষণ চলে রাস্তা অবরোধ। অবশেষে পুলিশের কুম্ভ নিদ্রা ভাঙলে স্থানীয়রা আশ্বাস পেয়ে মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি যায় গ্রামবাসী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য