Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যশিক্ষা ভবন ঘেরাও করে এস এফ আই -র বিক্ষোভ

শিক্ষা ভবন ঘেরাও করে এস এফ আই -র বিক্ষোভ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ মে : বিজেপি সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের খেসারত গুনতে হলো রাজ্যের কয়েক হাজার ছাত্র ছাত্রীকে। মাধ্যমিক ও দ্বাদশে ৭০ শতাংশের উপর বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের ফলাফল হতাশা জনক। রাজ্যের ১২৫ টি বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের পড়ুয়ারা এই বছর প্রথম সিবিএসসি বোর্ডের আওতায় মাধ্যমিক ও দ্বাদশ পরীক্ষায় বসে।

 সঠিক পরিকাঠামো গড়ে না তুলে অধিকাংশ শিক্ষানুরাগী মানুষের বক্তব্যকে পাত্তা না দিয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের ১২৫ টি স্কুলকে বিদ্যাজ্যোতি স্কুল করে সিবিএসই বোর্ডের অধীন দিয়ে দেয় বিজেপি সরকার। সিবিএসসি বোর্ডের পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা হতাশা জনক ফলাফল করায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষা ভবনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এসএফআই। এইদিন এসএফআই-র কর্মী সমর্থকরা প্রথমে শিক্ষা ভবনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরবর্তী সময় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তার নিকট ডেপুটেশান প্রদান করে। উপস্থিত ছিলেন এসএফআই-র রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব সহ অন্যান্যরা।

 সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, তিনি গত কয়েক বছরে প্রচার করেছেন বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি হবে। কিন্তু সম্প্রতি যখন মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল বিদ্যাজ্যোতি স্কুলগুলির প্রকাশিত হয়েছে তখন দেখা গেছে ছাত্র-ছাত্রীদের শোচনীয় ফলাফল। এবং এর জন্য দায়ী করলেন পরিকাঠামোগত অভাব। যা বর্তমানে বিভীষিকাময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সি বি এস ই -র বোর্ডের পরিক্ষার প্রক্রিয়ার সম্পর্কে জানে না ত্রিপুরা শিক্ষা দপ্তর।

 তাই এ ধরনের ফলাফল সামনে এসেছে। চরম বিপন্নতার দিকে রাজ্যের ছাত্র সমাজকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। বিশেষ করে সি বি এস ই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৬ সাল থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজিতে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করবে। তিনি আরো বলেন, খোয়াই -র এক ছাত্র অকৃতকার্য হয়ে অপমানে গত ১৫ মে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এর দায় কে নেবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি দাবি জানান, যারা এবছর মাধ্যমিক উৎপন্ন হয়েছে তাদের উচ্চমাধ্যমিকে বাংলাতেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। নাহলে অভিভাবকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে রাস্তায় বসার আহবান করলেন তিনি। তিনি আরো বলেন শিক্ষা রক্ষার দায়িত্ব যেহেতু সরকার নিচ্ছে না তাই জনগণকেই শিক্ষার রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। কাজেই আন্দোলন ও সংগ্রাম ছাড়া এই ব্যর্থ সরকারকে কোনভাবেই রুখা যাবে না বলে জানান তিনি। তাই এ ধরনের ফলাফল হয়েছে বলে জানান তারা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য