Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যরাস্তা, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সমস্যায় জর্জরিত গ্রামবাসীর দাবি উন্নয়নের

রাস্তা, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সমস্যায় জর্জরিত গ্রামবাসীর দাবি উন্নয়নের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মে : উন্নয়নের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে কৈলাসহরের হীরাছড়া এডিসি ভিলেজের বেলটিলা এবং কাঁঠাল ছড়া গ্রামের। বেহাল রাস্তাঘাট, নেই পানীয় জল এবং বিদ্যুতের চরম ভোগান্তি। সব মিলিয়ে তীব্র যন্ত্রণায় ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। জানা যায়, এই দুই গ্রামে উন্নয়ন তো অনেক দূর, মৌলিক অধিকার থেকে এখনো বঞ্চিত রয়ে গেছেন হীরাছড়া এডিসি ভিলেজের বেলটিলা ও কাঁঠাল টিলার গ্রামবাসী। বেলটিলা গ্রামের যতটুকুই রাস্তা আছে সেটুকু রাস্তাই তৈরী করেছেন গ্রামবাসীর।

মাইক যোগে নেতা নেত্রীরা উন্নয়নের বুলি ঝাড়লেও উক্ত এলাকায় সরকারের কোনো উন্নয়ন চোখে পড়েনি। মেঠো পথ দিয়েই সকলের যাতায়াত। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদার জন্য চলাচল এক প্রকার বন্ধ হয়ে পড়ে। কোনো রোগী যদি অসুস্থ হয় তাহলে তাকে কোলে করে কিংবা ভারে করে পূর্ত দপ্তরের রাস্তায় আনার পর সেখান থেকে গাড়ি দিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হয়। হারিকেনের আলোর বদলে বিজলি বাতি পৌঁছলেও আজও প্রতি সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন সেই হারিকেনের ওপরই নির্ভরশীল বেল টিলা এবং কাঁঠাল ছড়া গ্রাম। কৈলাসহরের হীরাছড়া এডিসি ভিলেজের বেলটিলা ও কাঁঠাল টিলা গ্রামে বিদ্যুতের আলো পৌঁছলেও সপ্তাহে এক থেকে দুদিনই ঠিকঠাক ভাবে আসে বিদ্যুৎ। মেরি মারাক নামে একজন জানান, বিদ্যুৎ ঠিক ভাবে না আসলেও প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল ঠিকঠাক আসছে। তিনি অভিযোগ করেন সপ্তাহে একদিন কিংবা দুই দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও ঘরে একটি লাইট ও একটি ফ্যান চালিয়ে বিল আসছে প্রায় সাতশো থেকে আটশো টাকা। এছাড়াও গোটা এলাকা জুড়ে সরকারী ভাবে কোথাও নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। অটল জলধারা মিশনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, এ ধরনের কোনো প্রকল্প আছে বলে তাদের জানা নেই।

আর,তাই গ্রাম জুড়ে পানীয় জলের তীব্র অভাব। স্থানীয়দের দাবি, বারবার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে জানালে শুধু মিলছে আশ্বাস। হীরাছড়া এডিসি ভিলেজের ৫নং ওয়ার্ডের বেল টিলা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ফজলু মিঞা এবং সোয়াগ মিঞা জানান, সড়কের বেহাল দশার কারণে স্বাস্থ্য পরিসেবা সহ অনেক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। রাস্তা সংস্কারের জন্য বার বার পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্বদের জানানো পরও এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। এছাড়াও বিদ্যুৎ পরিষেবা থাকলেও সপ্তাহের চার থেকে পাঁচ দিনই বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায় না। রাস্তা খারাপের ফলে সরকারী জলের গাড়ি মাঝে মধ্যে আসলেও গাড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে চায় না। প্রায় কয়েক কিলোমিটার পথ হেটে এসে পূর্ত দপ্তরের রাস্তার পাশে এসেই তাদের জল নিতে হয়। তাই রাজ্য সরকারের কাছে তাদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার, জল ও বিদ্যুতের পরিষেবার মান উন্নয়ন করা। কবে এই গ্রাম উন্নয়নের ছোঁয়া পাবে সেটা জানা নেই গ্রামবাসীর। দাবি উঠেছে গ্রামবাসীর সমস্যা সমাধান করার জন্য।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য