Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যপরকিয়ায় ফাঁসলেন চিকিৎসক, আহত দুই মহিলা

পরকিয়ায় ফাঁসলেন চিকিৎসক, আহত দুই মহিলা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ মে : গোমতী জেলা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের কেলোর কীর্তি। অভিযোগ প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে অন্যত্র রেখে সরকারি আবাসে বহিঃরাজ্যের যুবতীকে তালা বন্দি করে রাখলেন চিকিৎসক অমরেশ ভৌমিক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের সরকারি আবাসে ঘটে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যেতে হয় আরকে পুর থানার পুলিশকে।

জানা যায়, ২০১৮ সালে ডাক্তার অমরেশ ভৌমিক সামাজিক রীতি নিয়ম মেনে উদয়পুরের সোনামুড়া চৌমুনী এলাকার এক যুবতীকে বিয়ে করেন। ঐ যুবতী পেশায় একজন শিক্ষিকা। বর্তমানে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী ও কন্যা সন্তান থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার অমরেশ ভৌমিকের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে রাজ্য ও বহি:রাজ্যের একাধিক মহিলার সাথে। প্রথম স্ত্রীকে ঘরে রেখে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ভিন্ন ধর্মের এক যুবতীকে বিয়ে করে ডাক্তার অমরেশ ভৌমিক। এই নিয়ে বিগত তিন মাস ধরে ডাক্তার অমরেশ ভৌমিকের সাথে অশান্তি চলছে প্রথম স্ত্রীর। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে অশান্তি শেষ হতে না হতেই এইবার সামনে এল তৃতীয় যুবতী। অভিযোগ ডাক্তার অমরেশ ভৌমিক গোমতী জেলা হাসপাতালে ওনার নামে বরাদ্দ করা সরকারি আবাসে কলকাতার এক যুবতীকে নিয়ে এসে তালা বন্দি করে রেখেছেন।

এই খবর জানতে পেরে ডাক্তার অমরেশ ভৌমিকের দ্বিতীয় স্ত্রী তার বান্ধবীকে সাথে নিয়ে ছুটে যায় ডাক্তার অমরেশ ভৌমিকের সরকারি আবাসের সামনে। তারা গুনধর চিকিৎসকের সরকারি আবাসের তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গোমতী জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা। খবর দেওয়া হয় ডাক্তার অমরেশ ভৌমিক ও আরকে পুর থানার পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে ডাক্তার অমরেশ ভৌমিক ও তার প্রথম স্ত্রী সরকারি আবাসে ছুটে আসে। দেখা যায় চিকিৎসক অমরেশ ভৌমিকের সরকারি আবাসে বহিরাজের এক যুবতীকে পাঁচ দিন ধরেই রাখা হয়েছে। ডাক্তার অমরেশ ভৌমিক জানান মেয়েটি তার বান্ধবী। এই নিয়ে ডাক্তার অমরেশ ভৌমিক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তখনই গুণধর চিকিৎসক দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার বান্ধবিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। গুণধর চিকিৎসকের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রান বাচাতে আশ্রয় নেয় জঙ্গলে। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় আরকে পুর থানার পুলিশ। পুলিশ গুণধর চিকিৎসকের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার বান্ধবিকে উদ্ধার করে গোমতী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুণধর চিকিৎসকের দ্বিতীয় স্ত্রী গোটা ঘটনার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানায়। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গুণধর চিকিৎসক অমরেশ ভৌমিকের দ্বিতীয় স্ত্রী ঘটনার বিবরণ জানিয়ে আরকে পুর মহিলা থানায় মামলা দায়ের করেন স্বামীর বিরুদ্ধে। এখন দেখার পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য