Saturday, September 21, 2024
বাড়িরাজ্যরাজ্য নির্বাচন দপ্তরের মুখ্য আধিকারিক এবং রিটার্নিং কাছে নালিশ করল বিজেপি ও...

রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের মুখ্য আধিকারিক এবং রিটার্নিং কাছে নালিশ করল বিজেপি ও বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ এপ্রিল : ভোটের দিন সকাল থেকেই নানা অভিযোগে জর্জরিত ১ নং পশ্চিম ত্রিপুরা আসন এবং সাত রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এবং ভোটারদের রাস্তায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সহ পুলিং এজেন্টরা।

অপরদিকে শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ বিরোধীরা ভিত্তিহীন কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। শেষ পর্যন্ত শাসক বিরোধী উভয় দলের প্রতিনিধি নালিশ জানাতে রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের মুখ্য আধিকারিক পুনিত আগারওয়াল এবং পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের রিটার্নিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমারের কাছে যায়। বিজেপি -র পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধি দলটি রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের মুখ্য আধিকারিক এর কাছে গিয়েছেন তাদের মধ্যে উপস্থিত প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের বক্তব্য, মানুষের কাছে বলা হয়েছিল যাতে সকলে গিয়ে ভোট দান করেন। সে অনুযায়ী ভোটাররা সকাল থেকে উৎসবে মেজাজে ভোটদানে অংশ নিয়েছে।

কিন্তু ৭ রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রতন দাস বলছেন, পুলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এবং আগের দিন রাতের বেলা গিয়ে পুলিং এজেন্টের ঘরের তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের অভিযোগ গুলির কোন তথ্য প্রমাণ নেই বিরোধীদের কাছে। এবং মুখ্যমন্ত্রী যে স্কুলে ভোট দেন সেই স্কুলে দাঁড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা মিথ্যা অভিযোগ করছে। এগুলো তাদের নিম্নস্তরের রাজনীতি। শুধু তাই নয় তারা ভারতীয় জনতা পার্টিকে পুলিশের সাথে এবং নির্বাচন কমিশনের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ তুলছে। তাই রাজ্য নির্বাচন দপ্তরে এসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই নির্বাচন দপ্তরের কাছে। এটা বরাবরই বিরোধীদের উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা বলে জানান তিনি।

এ ধরনের বিভ্রান্ত সৃষ্টির বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের মুখ্য আধিকারিকের কাছে। এবং উনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান। রাজ্য নির্বাচন দপ্তর এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। অপরদিকে ইন্ডিয়া জোটের এক প্রতিনিধি দল ছুটে যান রাজ্য নির্বাচন দপ্তরের মুখ্য আধিকারিক পুনিত আগারওয়াল এবং রিটানিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমারের সাথে দেখা করে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানাতে। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের ইন্ডিয়া জোটের মনোনীত প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা, সাত রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রতন দাস, বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, প্রাক্তন মন্ত্রী পবিত্র কর। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের রিটার্নিং অফিসার ডঃ বিশাল কুমারের কাছে বিস্তারিত জানান ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল। রিটানিং অফিসারের সাথে কথা বলার পর প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা জানান, গত দুদিন ধরে ইন্ডিয়া জোটের সম্ভাব্য পোলিং এজেন্টদের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার আগে যখন ভোট কেন্দ্রে পুলিং এজেন্টরা যায়, তখন তাদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে সময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিং এজেন্টদের কোন ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে দায়িত্ব পালন না করেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে পুলিং এজেন্টদের। ১৬৮২ টি বুথের মধ্যে ১৫০০ -এর অধিক বুথে পুলিং এজেন্ট ছিল। এর মধ্যে অধিকাংশ পুলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ভোটাররা গেলে বাছাই করে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে, বাকিদের রাস্তা থেকেই ফিরিয়ে দিচ্ছে। এমনকি নরসিংগড় থানার সামনে হুইল চেয়ারে বসে ভোট দিতে যাওয়া বৃদ্ধাকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো বলেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকেও বেশি প্রহসন ও বিবর্ষ চিত্র এবারে নির্বাচনে ধরা পড়েছে। দাবি করা হয়েছে দিনভর প্রহসনের পর যাতে বিকাল বেলা অন্তত দুই ঘন্টা মানুষকে বাড়ি থেকে এনে ভোট দানের সুযোগ দেওয়া হয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য