স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ এপ্রিল : বাংলা নব বর্ষের প্রথম দিন দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হাল খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়। বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে হিসাবের নতুন খাতা খোলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ছোট বড় মাঝারি যেকোনো দোকানেই এটি পালন করা হয়ে থাকে। ত্রিপুরা রাজ্যেও বিভিন্ন দোকানে হাল খাতার প্রচলন রয়েছে।
মূলত পহেলা বৈশাখের সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বী দোকানী ও ব্যবসায়ীরা সিদ্ধিদাতা গণেশ ও বিত্তের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে থাকেন এই কামনায় যে, তাদের সারা বছর যেন ব্যবসা ভাল যায়। দেবতার পূজার্চনার পর তার পায়ে ছোঁয়ানো সিন্দুরে স্বস্তিকা চিহ্ন অঙ্কিত ও চন্দন চর্চিত খাতায় নতুন বছরের হিসেব নিকেশ আরম্ভ করা হয়। সেই মোতাবেক অন্যান্য বছরের ন্যায় এই বছরও বিভিন্ন দোকানে হাল খাতা সাজিয়ে বসেছেন দোকানদাররা। ব্যবসায়ীরা আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাল খাতার চাহিদা আগের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। আগের ন্যায় হাল খাতার ব্যবসা নেই বলেও জানান তিনি।