স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ এপ্রিল : লোকসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাকমুহূর্তে ‘মোদি সরকার কি গ্যারান্টি’ লিখে দেশব্যাপী বড় বড় হোর্ডিং-এ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে যে সব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো তার সবগুলোই না কি পূরণ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা হলো, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক ও শ্রমজীবী অংশের মানুষের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রতিগুলি পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
মোদির শাসনে আম্বানী, আদানী ও কর্পোরেটরাই শুধুমাত্র লাভবান হয়েছে। মঙ্গলবার সারা ভারত কৃষক সভা অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তোপ দাগলেন সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর। তিনি বলেন, মোদি সরকারের বিগত দশ বছরের শাসনে দেশে ১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি কৃষক ও কৃষি, শ্রমিক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন।
এন সি আর বি -র তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দৈনিক হাজিরার শ্রমিকদের আত্মহত্যার ক্ষেত্রেও ৩,১২,২১৪ সংখ্যা অতিক্রম করেছে। নিঃসন্দেহে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর টিম এক শাস্তিযোগ্য অপরাধের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।প্রতিশ্রুতি ছিলো সি২+৫০% ফর্মুলা অনুযায়ী ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করা হবে, কিন্তু বাস্তবায়ণ করে নি। অপরদিকে মোদি ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার প্রাক মুহূর্তে সংসদে দাঁড়িয়ে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যে অর্থাৎ দেশের স্বাধীনতা লাভের ৭৫ তম বার্ষিকী উদযাপনের মুহূর্তে কৃষকের আয় দ্বিগুন করা হবে। দেশের অধিকাংশ কৃষিজীবী পরিবার ঋণগ্রস্ত। এখন পরিবার পিছু এই ঋণের পরিমাণ প্রায় ৭৪,১২১ টাকা। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৯.০২ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.৩০ কোটি।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, কৃষকদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙে দিতে বিদ্যুৎক্ষেত্রকে বেসরকারীকরণের পাশাপাশি বিদ্যুৎ-ভোক্তাদের জন্য প্রি-পেইড স্মার্ট মিটার ব্যবহারেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এভাবে কৃষকদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আসন্ন নির্বাচনে পূর্ব ও পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের ইন্ডিয়া জোট মনোনীত প্রার্থী যথাক্রমে রাজেন্দ্র রিয়াং ও আশীষ কুমার সাহাকে ভোট দিয়ে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে পরাস্ত করার আহ্বান জানান পবিত্র কর। পাশাপাশি সাত রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট প্রার্থী রতন দাসকে জয়যুক্ত করার জন্য আহ্বান জানান।