Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যজনগণকে কৈফিয়ৎ দিয়ে তৃতীয়বার সরকারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য ভোট চাওয়া দরকার :...

জনগণকে কৈফিয়ৎ দিয়ে তৃতীয়বার সরকারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য ভোট চাওয়া দরকার : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ এপ্রিল : বিগত দিনের প্রতিশ্রুতি কতটা পালন করেছে তার কৈফিয়ৎ দিয়ে তৃতীয়বার সরকারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য ভোট চাওয়া দরকার। রবিবার ইন্ডিয়া জোট মনোনীত কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা সমর্থনে নতুন নগর স্কুল মাঠে আয়োজিত জনসভায় এ কথা বলেন পলিটব্যুরোর সদস্য তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।

 তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরের জন্য তৃতীয়বার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে বিজেপি মানুষের কাছে ভোট চাইছে। সরকারের থেকে যারা জনগণের কাছে ভোট চায় তাদের প্রথম প্রধান মৌলিক ও নৈতিক দায়িত্ব হলো এর আগের বার সরকারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় যে প্রতিশ্রুতি গুলি দিয়েছিল সেগুলি কতটা পূরণ করতে পেরেছে এবং যদি পূরণ করতে না পারে তাহলে কেন পূরণ করতে পারেনি সে বিষয়ে বিস্তারিত জনগণের কাছে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। তারপর যদি এর থেকে উত্তরণ হতে চায় তাহলে কি পথ, কি পন্থা অবলম্বন অনুসরণ করবে সে বিষয়ে জনগণের কাছে তুলে ধরবে।

আর এটা না বলে নতুন করে আরেকটি সরকার তৈরি করার আগে আবার কিছু প্রতিশ্রুতি ডালি নিয়ে আসলেই নির্বাচকমণ্ডলী চোখ কান বন্ধ করে বিজেপি -র প্রতিশ্রুতির কোলে ঢলে পড়বে এটা মনে করার কোন কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দু-তিনবার ত্রিপুরা রাজ্যে এসেছেন। বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু একটি প্রতিশ্রুতিও তারা পালন করতে পারে নি। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, বছরে দুই কোটি যুবকের চাকরির প্রতিশ্রুতি ছিল। তারপর ২০১৪ সাল থেকে গত দশ বছরে এখন পর্যন্ত কুড়ি কোটি চাকরি হওয়ার কথা। কোথায় সেই চাকরি প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, এ সরকার দুই কোটি চাকরি যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠিত করলেও সারাদেশে নিয়মিত চাকরি দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য যারা বুকে রক্ত জল করে বিদেশি শক্তির হাত থেকে প্রতিদিন দেশকে রক্ষা করে চলেছে সে সেনাবাহিনীকেও এখন নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ করা শুরু করেছে। যারা দেশ তৈরি করার কাজ করবে অর্থাৎ যুবশক্তির জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলে ২০৪৭ সালে দেশ কি রকম হবে সেটা উপর নির্ভর করে জুন ও জুলাই মাসে পূর্ণাঙ্গ বাজেট করবে বলে আশ্বস্ত করছে। কিন্তু মাঝখানে এত বছর মানুষ কি অভাব অনটনে শিকার হয়ে পেটে গামছা বেঁধে রাখবে? এ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সরকার। আয়োজিত নির্বাচনী সমাবেশে এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী আশীষ কুমার সাহা সহ বামফ্রন্টের অন্যান্য সংগঠনের নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য