স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ এপ্রিল : বছরে দুই কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, কৃষকদের ফসলের মূল্য দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি, জিনিসপত্রের মূল্য হ্রাস করার প্রতিশ্রুতি, কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে কৃষক, যুব সমাজ এবং আপামর জনগণকে ধোকা দিয়ে সরকারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপর গত দশ বছরে এই প্রতিশ্রুতি গুলি একবারের জন্য উচ্চারিত হয়নি।
বরং ১০ বছরের লক্ষ লক্ষ কৃষককে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে, লক্ষ লক্ষ পরিবারের মধ্যে আগুন লাগিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ যুবককে আত্মহত্যার দিকে পরিচালিত করেছে এই সরকার। এ সরকার গত ১০ বছরে দেশবাসীর মাথার উপর আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ঋণ চাপিয়েছে। এর জন্য ২০১৯ সালে দেশে এই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের পরাজয় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে তারা ক্ষমতাসীন হয়েছে। তাই আসন্ন নির্বাচনে তাদের পরাস্ত করতে ইন্ডিয়া জোট লড়াই করছে। শনিবার শান্তির বাজার মহকুমা বীরচন্দ্র মনুতে আয়োজিত এক জন সমাবেশে সরকারকে কাঠগড়ায় তোলে এই কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্যের ইন্ডিয়া জোটের ইলেকশন ক্যাম্পেইন কমিটির কনভেনার জিতেন্দ্র চৌধুরী। আয়োজিত নির্বাচনী জমায়েত থেকে পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সিপিআইএম মনোনীত ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী রাজেন্দ্র রিয়াং এবং পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের মনোনীত প্রার্থী আশীষ কুমার সাহার জন্য ভোট চাওয়া হয়। নেতৃত্বদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায় সহ অন্যান্যরা।
জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিজেপি বুঝতে পারছে তাদের বিদায় অনিবার্য। তাদের পায়ের নিচের মাটি কাপছে। বিরোধীদের জেলে ভরার চেষ্টা চলছে। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত দ্বারা প্রমাণিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় কলঙ্কিত দুর্নীতিবাজ দল হল ভারতীয় জনতা পার্টি। এবং এই ভারতীয় জনতা পার্টিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন এটি ভারতীয় লুটেরা পার্টি, ভারতীয় জুমলা পার্টি। এবং তিনি বলেন যদি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কোন প্রমাণ ছাড়া জেলের ভরা যায় তাহলে কেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে জেলে ঢুকানো হচ্ছে না ? জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় বলেছিল যদি রাজ্য তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার হয়, তাহলে কর্মচারীদের বেতন ডাবল হবে, চাকুরী ডাবল হবে। কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতি তারা পালন করতে পারেনি রাজ্যের ৬ বছরে। বরং এডিসিকে পঙ্গু করেছে, ভিলেজ কমিটির নির্বাচন করছে না। আরো বলেন, যার কারণে মানুষ শিক্ষা দিয়েছে তাদের। ২০১৮ পর ২০২৩ সালের নির্বাচনে তাদের ভোট ৫১ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে। অতীতের কোন সরকার সংখ্যা লঘিষ্ঠ ভোট পেয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। একমাত্র তারাই হয়েছে। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। নির্বাচনী সমাবেশের আগে একটি মিছিল সংগঠিত হয়। মিছিলে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল ছিল বেশ লক্ষণীয়।