স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ মার্চ : ক্লাব জবর দখলের অভিযোগ তুলে মাতব্বরি করতে গিয়ে উত্তম মধ্যম খেয়ে যুব মোর্চার নেতা সহ তিন জনের ঠাঁই হল জিবি হাসপাতাল। আক্রান্ত নেতাবাবু প্রদেশ যুব মোর্চার সোশ্যাল মিডিয়ার কো ইনচার্জ। রাজধানীর কাশীপুর এলাকার বাসিন্দা প্রদেশ যুব মোর্চার সোশ্যাল মিডিয়ার কো ইনচার্জ করণ বনিক।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এইদিন কাশীপুর স্থিত অরবিন্দ সংঘের ক্লাব গৃহে সুমন দাস নামে এক সমাজদ্রোহীর নেতৃত্বে আনন্দের উল্লাস চলছিল। তখন প্রদেশ যুব মোর্চার সোশ্যাল মিডিয়ার কো ইনচার্জ করণ বনিক ঘটনার বিষয়ে ক্লাব সম্পাদককে অবগত করেন। তখন কোন কিছু আচ করতে না পেরে ক্লাব সম্পাদক করণ বনিককে ক্লাবে গিয়ে গোটা বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। ক্লাব সম্পাদকের নির্দেশ মোতাবেক করণ বনিকের বাবা সহ এলাকার বেশ কয়েকজন অরবিন্দ ক্লাবে যান। তারা ক্লাবে যাওয়ার পর সুমন দাস সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা তাদের উপর হামলা চালায়।
খবর পেয়ে করণ বনিক তার বাবাকে বাঁচানোর জন্য ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তখন করণ বনিকের উপরও প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় নির্মল বণিক, দেবু ঘোষ, ডাক্তার সুকান্ত দাস ও প্রদেশ যুব মোর্চার সোশ্যাল মিডিয়ার কো ইনচার্জ করন বণিক আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় জিবি হাসপাতালে। আহতরা বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রদেশ যুব মোর্চার সোশ্যাল মিডিয়ার কো ইনচার্জ আহত করণ বনিক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানায় সুমন দাসের নেতৃত্বে সমাজদ্রোহীদের মূল লক্ষ্য ছিল অরবিন্দ ক্লাবকে দখল করা। স্থানীয়রা বাধা দান করার ফলে তারা এই ঘটনা সংগঠিত করেছে। করণ বনিক আরও অভিযোগ করেন অভিযুক্তরা তার গলা থেকে রুপার চেইন, মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার কতটা সততা রয়েছে সেটা পুলিশের তদন্তে বের হয়ে আসবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।
তবে স্থানীয়দের একটা অংশের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে ক্লাবটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে জল ঘোলা করার প্রচেষ্টা। এলাকার কিছু মাতাব্বর মানুষের নিরাপত্তা ছিনিয়ে নেওয়ার উপক্রম। কখনো ক্লাব জবর দখলের অভিযোগ তুলছে, আবার কখনো গেরুয়া বাহিনী হয়ে বিভিন্ন প্রচেষ্টা এলাকার শান্তি সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে অবগত রয়েছে স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে সকলে। কিন্তু কোন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা লেজুড়বৃত্তি বানর হয়ে উঠেছে। সরকারকে কালিমা লিপ্ত করে যা খুশি তাই করছে এলাকায়। যার পরিণাম ঘটলো এই দিন দুপুরে।