স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ ফেব্রুয়ারি : সিপিআইএম-এর ২৩ তম সম্মেলন ঘুরে দাঁড়ানোর সম্মেলনে বলে মনে করেন নেতৃত্বরা। তাই এ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বলে জানান সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। ৩৯ মাস পর রাজ্যে সিপিআইএমের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ভারতের কমিউনিস্ট মার্কসবাদী পার্টির এটি ২৩ তম সম্মেলন। প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর বাঞ্চ কমিটি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কেরলে আগামী ৬-১০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্র এবং রাজ্যের সম্মেলনে দেশ এবং রাজ্যের রাজনীতি পরিস্থিতি নিয়ে চর্চা হবে। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হবে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯৯২ জন দলের সদস্য রয়েছে। তারা দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক এবং সভ্য পদ গ্রহণ করে আছে। ৪৮০৮ টি ব্রাঞ্চের সম্মেলন হয়েছে। ৩০২ টি অঞ্চল কমিটি সম্মেলনের পর ২৪ টি মহাকুমা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারপর রাজ্যের আটটি জেলা কমিটি নির্বাচিত হয়ে ৩২০ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি ২৩ তম সম্মেলনে যোগদান করবেন। সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি জানান রাজ্যে গত তিন বছরে ১৭ জন সহযোদ্ধা শহীদে মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ পঙ্গু হয়ে গেছে। কারোর কারোর উপর আর্থিক আঘাত নেমে এসেছে। তাই এই সম্মেলন ঘুরে দাঁড়ানোর সম্মেলন বলে জানান তিনি। ভারতীয় জনতা পার্টি এবং আইপিএফটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আট মাসের মাথায় রাজ্যে ২২ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন সরকার সম্পর্কে রাজ্যবাসীর এবং বিরোধীদল সিপিআইএমের ধারণা ছিল না। কিন্তু সেই সময় প্রতিকূলতা আরো বেশি ছিল। কারণ একদিকে বেপরোয়া পরিস্থিতিতে দলকে রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় মূল লক্ষ্য ছিল। গত ৩৯ মাসে ঘাত-প্রতিঘাতে একটি ঘুরে দাঁড়ানো সম্মেলন এটি বলে জানান তিনি।
আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে দশটায় টাউন হলে পতাকা উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে রাজ্য সম্মেলনের। সম্মেলনে প্রয়াত বাজুবন রিয়াং, গৌতম দাস এবং বিজন ধরের নামে নামাকরন করা হবে। বৃহস্পতিবার হবে প্রকাশ্য জনসমাবেশ। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাত, মানিক সর্কার মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এটা রাজ্যের গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ফিরিয়ে আনতে প্রকাশ্য জনসমাবেশ। কারণ রাজ্যে শুরুতে বিরোধীদল সিপিআইএম -এর উপর আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু এখন এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে যারাই মুখ খুলছে তাদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। আর এই সম্মেলনে কারণে শাসকদল আতঙ্কগ্রস্ত। তাই তারা সন্ত্রাস কায়েম রেখে টিকে থাকতে চাইছে বলে বিরোধীদের প্রদান করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। এদিন আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা মানিক দে।