স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ মার্চ : ফাইভ-জি এসে গেছে। কিন্তু কমিউনিস্টরা আপডেট থাকে না, সে কারণে ত্রিপুরা মানুষ আপডেট হতে পারেনি। কমিউনিস্টরা শুধু মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করতে জানে। ২০১৮ সালের আগে যদি রাজ্যে বিপ্লব কুমার দেব এবং সুনীল দেওধর না আসতেন তাহলে রাজ্যের বর্তমান বিজেপি কর্মীদেরও কমিউনিস্টরা তাদের মত করে গড়ে তুলতো।
মঙ্গলবার আগরতলা টাউন হলে বিজেপি সদর জেলা শহরাঞ্চল কমিটি ও গ্রামীন কমিটির সাংগঠনিক বৈঠকে কমিউনিস্টদের তোপ দেগে এই কথা বললেন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। বিপ্লব কুমার দেব কমিউনিস্টদের কাঠগড়ায় তুলে বলেন দীর্ঘ ২৫ বছর কমিউনিস্টরা এক অভাবনীয় নিয়ম-নীতি তৈরি করে রেখেছিল রাজ্যে। এর পরিবর্তন হয়েছে ২০১৮ সালে। বিপ্লব কুমার দেব আরো বলেন, কমিউনিস্টরা হলো মেকানিক্যাল পার্টি, কংগ্রেস তরমুজ, কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি হল আত্মীয়তার পার্টি।
ভারতীয় জনতা পার্টিতে বড় বড় নেতৃত্ব কার্যকর্তাদের সাথে কথা বলে পরামর্শ গ্রহণ করেন। বিপ্লব কুমার দেব যুবকদের উদ্দেশ্যে বললেন, কমিউনিস্টদের সাথে থেকে তাদের নিয়ম-নীতি অনুসরণ না করার জন্য। প্রয়োজনে পানের দোকান দেওয়া, গরু ছাগল প্রতিপালন করা এবং দুধ বিক্রির কথা বললেন বিপ্লব কুমার দেব। তিনি কংগ্রেসের নেতৃত্বদের কটাক্ষ করে বলেন, বহুদল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন, তারা আবার বিজেপি থেকে কংগ্রেসকে চলে গেছে। আবার কংগ্রেস এ গিয়ে কিছুদিন পর পর তিপরা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের সাথে বৈঠক করে মানুষকে এমন ভাব দেখাতো যেন বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ফেলছে তারা। গত কয়েকদিন আগেও প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের সাথে বৈঠক করে এমন নাটক করছে। এর দুদিন পরেই দেখে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ দিল্লি গিয়ে বসে আছে। এভাবেই সুদীপ রায় বর্মন এবং আশীষ কুমার সাহাকে নাম না করে সমালোচনা করলেন বিপ্লব কুমার দেব। আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠকে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।