Friday, February 7, 2025
বাড়িরাজ্যত্রিপুরায় বস্ত্র শিল্প গড়ে তুললে মিলবে ভর্তুকি, বাংলাদেশের শিল্পপতিদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার...

ত্রিপুরায় বস্ত্র শিল্প গড়ে তুললে মিলবে ভর্তুকি, বাংলাদেশের শিল্পপতিদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর



আগরতলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরাকে ঘিরে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনা। কারণ, ত্রিপুরায় পণ্য উত্পাদনে মিলবে ভর্তুকি। তাই, বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ বস্ত্র শিল্প ত্রিপুরায় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। আজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উত্সবের সূচনা করে তিনি সেদেশের শিল্পপতিদের ত্রিপুরায় বিনয়োগে এগিয়ে আসার জন্য বার্তা দিয়েছেন। সাথে আবেগের সুরে বলেন, সারা বিশ্বে শুধু বাংলাদেশের সাথে ভারতের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। মাতৃসম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ মেনেই ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পড়শী দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা সমচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে সহযোগিতা করে উপকার করেনি। বরং, তাতে এই অঞ্চলের মানুষের স্থায়িত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তাই, মানবিক দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সহায়তা ভারতের দায়িত্ব এবং কর্তব্য ছিল, তা পালন করেছে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন দীশা দিয়েছেন। সর্বক্ষেত্রেই প্রমাণ করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের আর্থিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের সাথে সমগ্র দেশে বেড়েছে আত্মসম্মান। তাই, এখন সকলেই বিশ্বের যেকোন প্রান্তে বুক চিতিয়ে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেন। সাথে তিনি যোগ করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাই, আমরাও বুক চিতিয়ে ভারতবাসী হিসেবে নিজেদের পরিচিতি দেই।

এদিন তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ব্রিটিশদের কারণে উত্ত-পূর্বাঞ্চলের জন্য সমস্ত দরজা বন্ধ ছিল। ফলে, ৪-৫ গুন বেশি অর্থ খরচ করে আমাদের পণ্য আমদানি করতে হচ্ছিল। কিন্ত, চট্টগ্রাম বন্দর ত্রিপুরার জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে। ফলে, ত্রিপুরা উত্ত-পূর্বাঞ্চলের করিডোর হতে চলেছে। তাতে, ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশও উপকৃত হবে, দৃঢ় প্রত্যয়ের সুরে বলেন তিনি।আজ মুখ্যমন্ত্রী তীব্র বিষোদগার প্রকাশ করে বলেন, এই অঞ্চল এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অনেকের সহ্য হচ্ছে না। তাই, ষড়যন্ত্রকারীরা মাঝেমধ্যেই ফোঁস করছে। তবে, নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা থাকতে ষড়যন্ত্র সফল হবে না। কারণ, মানুষ এখন সবই বুঝেন। তাঁর দাবি, চট্টগ্রাম বন্দর খুলে যাওয়ায় আর্থিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। সাথে ত্রিপুরার বিকাশ হবে।

আজ চলচ্চিত্র উত্সবে মুখ্যমন্ত্রী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ভৌগোলিক সীমারেখা কখনই পারস্পরিক হৃদ্যতার পথে অন্তরায় হতে পারে না। ভারতের সাথে বহু দেশের আর্থিক লেনদেন রয়েছে। কিন্ত, আত্মিক সম্পর্ক শুধু বাংলাদেশের সাথেই আছে। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ ত্রিপুরাকে কখনই ফিরিয়ে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যা চেয়েছি সব পেয়েছি। ফেনী নদী থেকে জল তোলার সমস্যাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। তিনি ওই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন।


তিনি জানান, সাব্রুমে বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, লজিস্টিক হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাই ত্রিপুরায় বিনিয়োগে এগিয়ে আসুন, বাংলাদেশের শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কাপড়ের শিল্প খুব সুনাম কুড়িয়েছে। ফলে, ওই শিল্পের মারাত্মক বিস্তার ঘটেছে। তাঁর বক্তব্য, বাংলাদেশ থেকে কাপড় আনার ক্ষেত্রে শুল্ক দিতে হবে। কিন্ত, ত্রিপুরায় কাপড় তৈরী করা হলে উল্টে ভর্তুকি মিলবে।

এদিন তিনি বলেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে ত্রিপুরায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। রেল লাইন সম্প্রসারণে খরচ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ফলে, ত্রিপুরাকে ঘিরে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনার সুফল কুড়িয়ে নিন, বাংলাদেশের শিল্পপতিদের কাছে আবেদন জানান তিনি। বিনয়োগে এগিয়ে আসার জন্য বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য