স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ মার্চ : ছেলে, ছেলের বউ এবং নাতির বিরুদ্ধে থানায় মারধরের অভিযোগ করার পরেও বিশালগড় থানার পুলিশ বাবুদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার সুযোগ নিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা বৃদ্ধাকে। অভিযোগ উঠছে রাজনৈতিক বেড়াজালে পুলিশের হাত-পা বাঁধা। জানা যায়, সম্পত্তির লোভে গর্ভধারিণী মাকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠল ছেলে, ছেলের স্ত্রি ও নাতির বিরুদ্ধে।
ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে থানার দবারস্থ হল অসহায় বৃদ্ধা মা। ঘটনা শুক্রবার সকালে বিশালগড় থানাধীন চাম্পামুড়া এলাকায়। এলাকার বাসিন্দা কর্ণবালা দেবনাথ। ওনার ছেলে তপন দেবনাথ, ছেলের স্ত্রী গৌরি দেবনাথ এবং নাতি জুয়েল দেবনাথ। জানা যায় তিন বছর পূর্বে কর্ণবালা দেবনাথের স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতি ওনার উপর নির্যাতন সুরু করে রাবার বাগান সহ সম্পত্তির ভাগ নিয়ে। বাধ্য হয়ে এক বছর পূর্বে তিনি মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। মেয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার পর ওনার উপর পুনঃরায় শুরু হয় নির্যাতন।
গত কয়েকদিন আগে নাতির মারধরের পর থানায় গিয়ে ছেলে, নাতি এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন অসহায় বৃদ্ধা। কিন্তু শাসক দল সমর্থিত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আশ্চর্যের বিষয় থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন পোকে মনে করিনি বিশালগড় থানার পুলিশ। যার ফলে বৃদ্ধাকে প্রানে মারার চেষ্টা করল অভিযুক্তরা। অভিযোগ শুক্রবার সকালেও ছেলে তপন দেবনাথ, পূএবধু গৌরি দেবনাথ ও নাতি জুয়েল দেবনাথ কর্ণবালা দেবনাথের উপর সংঘবদ্ধ ভাবে আক্রমণ করে। এবং গলা টিপে প্রানে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় অসহায় কর্ণবালা দেবনাথ বিশালগড় থানার দ্বারস্থ হয়ে ন্যায় বিচারের দাবি জানান। পুলিশের এহেন ভূমিকা বিশালগড়বাসীর মনে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি করছে। একজন অসহায় বৃদ্ধাকে থানার দরজায় দরজায় ঘুরে বিচার মিলছে না! এ কেমন ভূমিকা পালন করছে বিশালগড় থানার ওসি থেকে শুরু করে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসাররা? এ বিষয়ে কি অবগত রয়েছে জেলা পুলিশ সুপার? বারো মাসে তের বার বেতন-পেয়ে জনগণের পরিষেবা পর্যন্ত দিতে ভুলে যাচ্ছে তারা। রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত এই পুলিশ অফিসারদেরও পরিবার রয়েছে। ৬০ বছর বয়সের পর তারাও অবসরে যাবেন। যে রাজনীতি দপ্তরের মধ্যে কায়েম করে রেখেছে তার পরিণাম হয়তো আগামী দিনের তাদেরও মিলতে পারে। কারণ যারা নতুন চাকরিপ্রাপ্ত তারাও এই ধরনের সংস্কৃতি বর্তমান অফিসারদের থেকে শিখবে। যাইহোক অসহায় বৃদ্ধার বিচার নিয়ে স্থানীয়রা আদালত পর্যন্ত যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে এলাকাবাসী সূত্রের খবর।