Monday, February 10, 2025
বাড়িরাজ্যনেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

নেশা কারবারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ ফেব্রুয়ারি : যারা মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিকের পবিত্র ভূমিতে ড্রাগস যুক্ত করতে চেয়েছে তাদের মাপ করা হবে না। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করবে আর নিজেরা বাড়ি বিল্ডিং হাকাবে, গাড়ি চলবে এগুলি রাজ্যবাসী মেনে নেবে না। তদন্ত করা হবে। কোথায় থেকে তারা এত টাকা পেয়েছে পিতৃ সম্পত্তি নাকি শ্বশুরবাড়ি থেকে সম্পত্তি এসেছে। তারা কাউকে ছাড়া হবে না। ইন্দ্রনগর স্থিত সরকারী মহিলা শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ষ্টেট অফ আর্ট বিল্ডিং এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

 আত্মনির্ভর ভারত, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা, স্ব-নির্ভর যোজনা, এম এস এম ই, ক্ষুদ্র শিল্প, স্মোক হাউস, কিষাণ সম্মান নিধি, রেশন সামগ্রীর মাধ্যমে আলাদা আলাদা সামগ্রী বিতরণ, বিদ্যাজ্যোতির মাধ্যমে ১০০ সি বি এস সি স্কুল, বিমানবন্দরের নতুন  টার্মিনাল, জাতীয় সড়ক, ঘরে ঘরে জল, সবার বারীতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ, ৪ হাজার থেকে ২৬ হাজার স্ব সহায়ক দল এই শব্দ গুলি সম্পর্কে রাজ্যের বর্তমানে অবগত হয়েছে। আগে ছিল হতাশা ও বঞ্চনার শব্দ। এগুলিকে কোন রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। ৪০ বছর ত্রিপুরাকে এই শব্দগুলি দিয়ে সাজানো হচ্ছিল। এতে ত্রিপুরা সাজেনি। কেন না নিরাসা কোন ব্যক্তিকে আশা দিতে পারে না। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এই সরকার আশা জায়িগেছে। নিরাশার বাতাবরণ থেকে মুক্তি দিয়েছে। তার কারনে মাথা পিছু গড় আয় বেড়েছে। কৃষকদের আয় বেড়েছে। এখন গরিব মুক্ত কৃষক তৈরি হয়েছে রাজ্যে। এরা আগেও ছিল। কিন্তু তাদের আত্ম নির্ভর মানসিকতায় প্রেরণ করার জে দায়িত্ব রাজ্য সরকারের ছিল তা করা হয়নি। পরনির্ভর শীল তৈরি করার কারখানাই ছিল পূর্বতন সরকারের মূল রক্ষক। আত্মনির্ভর হলে তার মধ্যে স্ব ভিমানী মানসিকতা তৈরি হয়। তাকে ভালবাসা দিয়ে জয় করা যায়। ক্যাডার ও লাল চশমার ধমক দিয়ে জয়ী করা যায়না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

পূর্বতন সরকারের আমলে নেশার আমদানি হয়েছে। এই রাজ্যের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। সেই সময় তারা নীরব ছিল। এখন কিছু হয়নি বলে প্রচার চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার নেশা কারবারীদের সঙ্গে কোন আপোশ করবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরার ছেলে মেয়েদের ড্রাগস মুক্ত করা হবে। এই কারবারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ছাড়া হবে না। তাদের ভোট বিজেপি-র প্রয়োজন নেই বলে স্পষ্ট জানান তিনি। প্রজন্মকে শেষ করে তাদের সঙ্গে আপোশ এটা হতেই পারে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে হলে একা সরকার ও আরক্ষা প্রশাসনের দ্বারা সম্ভব নয়। তার জন্য বড় ভূমিকা নিতে হবে মহিলাদের। তারা নিশ্চিত করে দিলে কেউ নেশা বিক্রি করতে পারবে না। নেশাকারবারীদের কোন ছাড় নেই। তাদের শেষ দেখা ছাড়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। গত তিন বছরে  ৪০০ –র কাছাকাছি উত্তীর্ণ হয়ে সরকারী বেসরকারী ক্ষেত্রে কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, টি আই ডি সি-র চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়, সচিব পি কে গোয়েল,  অধিকর্তা স্বপ্না দেবনাথ সহ অন্যান্যরা। পরে মুখ্যমন্ত্রী নব নির্মিত ভবনটি ঘুরে দেখেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য