স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ মার্চ : আগরতলা শহরবাসীর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাকে সামনে রেখে গত বুধবার আগরতলা পুর নিগমের ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৪১৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করা হয়। সোমবার আগরতলা পুর নিগমের কনফারেন্স হলে বাজেট পেশের উপর আলোচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্পোরেটর ও নিগমের কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদব। মেয়র সংবাদ মাধ্যমিকে জানান, আগরতলা শহরকে যানজট মুক্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিকাশি ব্যবস্থা, আলোর ব্যবস্থা এবং উন্নত নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে গত বুধবার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করা হয়েছিল।
যাতে আগামী দিনে নাগরিকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া যায় সেদিকে লক্ষ্য করে পেশ করা বাজেটের উপর সোমবার আলোচনা হয়। তিনি জানান, আগরতলা শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, ওপেন জিম তৈরি করা, যে সমস্ত বিনোদন পার্ক সংস্কারের অভাবে ভুগছে সেগুলো সংস্কার করা সহ সার্বিকভাবে আগরতলা শহরকে সাজানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। যে বাজেট পেশ হয়েছিল তা আজ সর্বসম্মতি ক্রমে গৃহীত হয়েছে। ২০১৮ সালে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সরকারি সহযোগিতায় আগরতলা পুর নিগম কর্তৃপক্ষ কাজ করে চলছে। নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে আগরতলা শহর।
মানুষের চাহিদার উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সর্বাত্মকভাবে জনমুখী এ বাজেট গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র। আগরতলা শহরের যে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে সেটা আগামী ৯ মাসের মধ্যে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি বন্যার জল থেকে আগরতলা শহরবাসীকে মুক্ত করার জন্য কাজ চলছে। বর্তমানে আগরতলা শহরে তেমন কোন জল জমে না। কিছু কিছু স্থানে জল জমলেও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। নয়া বাজেটে আধুনিক তিনটি পাম্প বসানোর জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সহসাই এই পাম্প বসানো হবে বলে জানান মেয়র। আগরতলা শহরের শিশু উদ্যানে একটি আধুনিক কফি হাউস বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। সহসাই এটি চালু করার হবে। সব মিলিয়ে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত আগরতলা তৈরি করে ১০০ টি স্মার্ট সিটির মধ্যে আগরতলার নাম শীর্ষে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরো জানা যায়, এই অর্থবছরে অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১৬ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। বিগত বছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছর আয় ধরা হয়েছে ১৯ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা। ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ৭৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। এই ঘাটতির টাকা আগরতলা পুর নিগম নিজস্ব আয় থেকে মেটাবে। অপরদিকে আগরতলা শহরের জিবি বাজার আধুনিককরণ করার জন্য দখলমুক্ত করা হয়। একেবারে বটতলা বাজার ও আধুনিক করণের জন্য কাজ শুরু হয় করা হবে। পাশাপাশি বর্ডার গোল চক্কর বাজার ও দুর্গা চৌমুহনি বাজারটি আধুনিককরণ করার জন্য নিগমের পরিকল্পনা রয়েছে।