Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যচুরি করতে না পেরে শ্রমিককে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে গেল চোরের...

চুরি করতে না পেরে শ্রমিককে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে গেল চোরের দল

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ মার্চ : আতঙ্কের শহর হয়ে উঠেছে আগরতলা স্মার্ট সিটি! আনস্মার্ট থানা বাবুদের ব্যর্থতায় এক সপ্তাহের মধ্যে তিনটি ডাকাতির ঘটনার পর এবার প্রানঘাতী হামলা সংগঠিত করল চোরের দল। রক্ত ঝড়ল শ্রমিকের। এই ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে শনিবার রাতের বেলা রামনগর ৫ নাম্বর রোড স্থিত নির্মীয়মান পাকা ভবনে।

 সেখানে নির্মাণের কাজে থাকা এক শ্রমিককের উপর রাতের বেলা এই আক্রমণ সংঘটিত করেছে তিনজন চোর। চোরের দল চুরি করতে এসে ব্যর্থ হয়ে শ্রমিকের পীঠে ছুরি ঢুকিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। আহত শ্রমিকের নাম প্রসেনজিৎ দাস। তার বাড়ি কুমারঘাটে। কাজের সূত্রে সে আগরতলা গত তিন মাস ধরে থাকে। জানা যায় শনিবার রাতের বেলা তিনজন চোর নির্মীয়মান কাজের রড চুরি করতে আসে। বিষয়টি সেখানকার শ্রমিক প্রসেনজিৎ -এর নজরে আসার পর সে বাধা দেয়। তখন তার উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় এবং ছুরি প্রসেনজিতের পিঠে ঢুকিয়ে দেয়। পরে তার চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশেপাশে লোকজন। তারা এসে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করতে পেরে খবর দেয় দমকল কর্মীদের। দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে জিবি হাসপাতালে।

ঘটনা খবর পেয়ে ছুটে যায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি। পুলিশ রাতের বেলায় ছোটাছুটি করেছে আগরতলা শহরে। পুলিশ স্মার্ট সিটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্তে নামবে বলে জানা যায়। তবে উদ্বেগজনক ভাবে শহরে চুরি ডাকাতির ঘটনা মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। পুলিশ তদন্তে নামলেও চোর চক্র এবং ডাকাতের দলকে জালে তুলতে পারছে না। পুলিশ স্মার্ট সিটি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে লক্ষ্য করতে পারছে চোর ডাকাতের দল অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফাঁড়ি রাস্তা ব্যবহার করছে। কিন্তু তারপরও পুলিশের নিয়মিত টহলদারি নেই। শহরবাসী এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে আগরতলা শহরের থানা গুলির ব্যর্থ পুলিশ বাবুদের ভূমিকা নিয়ে। বিশেষ করে এই ঘটনাগুলির সাথে যারা জড়িত তারা পশ্চিম জেলার বাসিন্দা কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে পুলিশের মধ্যে। কারণ পুলিশ ঘটনার তদন্ত নেমে শুধু পশ্চিম জেলায় নয়, অন্যান্য জেলাতে দৌড়াতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কোনো কিনারা হচ্ছে না। তাই এবার পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে মানুষের মাঠে নামার অপেক্ষা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য