স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ মার্চ : কমিউনিস্ট মানসিকতা সম্পন্ন জীব এখনো রাজ্যে আছে। তারা মহিলাদের পিছিয়ে রেখেছিল দীর্ঘ ২৫ বছর। লোকসভা নির্বাচনের পশ্চিম আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যে এসে দ্বিতীয় দিন কমিউনিস্টদের সমালোচনা করতে গিয়ে এই কথা বলেন। বুধবার সাত রামনগর মন্ডলের উদ্যোগে ভারতীয় জনতা পার্টি কর্তৃক আয়োজিত মহিলা স্ব-সহায়ক দল এবং এনজিও সম্পর্কে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় রাজধানীর বর্ডার গোল চক্কর এলাকার ওয়েস্টার্ন ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়।
অনুষ্ঠানে শুরুতে এলাকার প্রয়াত বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। পরে মহিলাদের উদ্দেশ্যে বিপ্লব কুমার দেব বক্তব্য রেখে বলেন, অধিকাংশ ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের পেছনে আর্থিক বিষয় জড়িত থাকে। এর জন্য প্রয়োজন মহিলাদের আত্মনির্ভর করা। মহিলারা যখন আত্মনির্ভর হয় তখন পরিবার আত্মনির্ভর হয়। কিন্তু একজন পুরুষ যখন স্বনির্ভর হয় তখন শুধু সে নিজেই স্বনির্ভর হয়। কিন্তু এই ধরনের ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সদের ইতিহাস ভারতের ইতিহাসে ছিল না। এ ধরনের সভ্যতা দেশে মোগল আমলে এসেছে।
বিদেশি শক্তি মহিলাদের পিছিয়ে রাখার আবিষ্কর্তা। এই বিদেশী শক্তির মধ্যে রয়েছে কমিউনিস্টরাও। তারা ২৫ বছর ত্রিপুরা শাসন করেছে। তারা নারীদের সবচেয়ে বেশি শোষণ করেছে। এবং আজকে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যে ঘটনা তৈরি হয়েছে তারও আবিষ্কর্তা তৃণমূল কংগ্রেস নয়, কমিউনিস্টরা। এবং তারা আজও মনে করে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গেলে শুদ্ধ হওয়া যায় না, শুদ্ধ হওয়া যায় একমাত্র মেলার মাঠ সিপিআইএমের পার্টি অফিসে গেলে। এবং পার্টি অফিসে স্নান করলে পূণ্য স্নান হয়। এমন সংস্কৃতির দিকে তারা ত্রিপুরাতে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজকের দিনে এই কমিউনিস্ট শাসন না থাকলেও কমিউনিস্ট মানসিকতা জীব রাজ্যে রয়েছে। তাদের এখন আর কেউ গণ্য করে না। তাই এগুলির সম্পর্কে অভিভাবকরা দায়িত্ব নিয়ে ছেলেমেয়েদের অবগত করতে হবে বলে জানান বিপ্লব কুমার দেব। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষণীয়।