স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ ফেব্রুয়ারি : বৃহস্পতিবার যুব উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে রাজ্যে আসতে চলেছেন দেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শান। বুধবার সচিবালয় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণাটি দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি জানান, ২৯ ফেব্রুয়ারি যুব উৎসবের সমাপ্ত অনুষ্ঠান হবে। সমাপ্ত অনুষ্ঠানটি হবে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে। সেখানে পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
এবার গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের আটটি রাজ্য থেকে মোট ৮২৭ জন অংশগ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারি সমাপ্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি আরো জানান, আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য বসার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া সকলের জন্য খোলা থাকবে এ আনন্দঘন অনুষ্ঠান। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শুরু করেছে পরিক্ষার মরশুমে রাজ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন ঘিরে। গত কয়েকদিনের দেখা গেছে রাজ্যে শাসক দলের মন্ত্রী বিধায়কদের দৌলতে রাজ্যে একের পর এক প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী নিয়ে আসছে। পাশাপাশি রাজ্যে লেগে আছে খেলা ও মেলার আয়োজন। শব্দ সন্ত্রাস করে গোটা রাজ্যে চলছে এ ধরনের আয়োজন।
মন্ত্রী সুধাংশু দাসের পর এবার মন্ত্রী টিংকু রায়ের উদ্যোগে রাজ্যে হতে চলেছে জমকালো অনুষ্ঠান। পরের দিন থেকে শুরু হতে চলেছে ত্রিপুরা মধ্য শিক্ষা পর্ষদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং একদিন পর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে গোটা রাজ্যে। পাশাপাশি স্কুলগুলিতে এবং কলেজে চলছে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা। আর এই সময় খেলা-মেলার আয়োজন করে মন্ত্রী বিধায়করা ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যাদের হাতে সরকার পরিচালনা করার দায়িত্ব তারাই এ ধরনের কাজে নেমে পড়েছে। ব্যাঘাত ঘটছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায়। মুখ ফুটে অভিভাবকরা এর প্রতিবাদ করতে পারছে না। কারণ প্রতিবাদ করলে হয়তো এর পরিণাম ভয়াবহ আকারও ধারন করতে পারে। কিন্তু পরীক্ষার সময় এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে শিক্ষাবিদ সহ অভিভাবক মহলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে সরকার। এই ধরনের অনুষ্ঠানে নেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। পাশাপাশি আগরতলা শহরের পাড়ায় পাড়ায় চলছে বক্স বাজিয়ে খেলার আয়োজন। প্রভাবশালী কিংবা মৃত ব্যক্তির নাম দিয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে বিকট শব্দ করে সন্ধ্যা থেকে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত চলছে সাউন্ড বক্স দিয়ে গান। আশেপাশে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অবস্থা কাহিল। তালে তালে নাচছেন মন্ডল নেতারা। সরকারের এ ধরনের কার্যকলাপ কতটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে সেটা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার কেউ নেই।