স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ ফেব্রুয়ারি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সিপিআইএম -এর পক্ষ থেকে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করা হবে যাতে কোনভাবেই বিরোধী ভোট রাজ্যের ভাগ না হতে পারে। কারণ গত ৬ বছরে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। তাই দেশ থেকে বিজেপিকে হটাতে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করা হবে। শনিবার কমলপুর মহকুমা স্থিত শান্তির বাজারে সিপিআইএম মহকুমা কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত প্রকাশ্য সভায় এ কথা বললেন সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব ও নেশার বিরুদ্ধে এক মিছিল সংঘটিত হয়। মিছিলের পর আয়োজিত সভায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে জিতেন্দ্র চৌধুরী আরো বলেন, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপরা মথা এবং বিজেপি -র মধ্যে তলে তলে প্রেম চলছে। তাই কয়েক দিন পরপর মথার নেতারা দিল্লি যাচ্ছে, গোহাটি যাচ্ছে, শিলং যাচ্ছে। আর তারা মুখে শুধু জনজাতিদের জন্য কথা বলছে। তিনি আরো বলেন, এই সরকার দেশের আইন কানুন কোন কিছু মানছে না। সরকারে প্রতিষ্ঠিত হয়ে রাজ্যে যতগুলি বিরোধী দলের দলীয় কার্যালয় ছিল সবগুলি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তারপর আবার গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন ত্রিপুরায় নাকি বিরোধী দলের দলীয় কার্যালয় ভাঙ্গা হয়নি। পরবর্তী সময় শাসক দলের ১০০ টি কার্যালয়ের নাম নথিভুক্ত করে ত্রিপুরা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল। যেগুলি জেলা শাসকের স্বাক্ষর দ্বারা সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছে। তখন শাসক দল তাদের একটি দলীয় কার্যালয়ও ভাঙে নি। প্রশ্ন তাদের জন্য কি আলাদা কোন আইন রয়েছে? এটা কোন গণতন্ত্র ? বিজেপি হলে চুরি করলেও মাপ পেয়ে যাবে, ডাকাতি করলেও মাপ পেয়ে যাবে এবং সরকারি জমি দখল করল পার পেয়ে যাবে? এটাই কি সাবকা সাথ সাবকা বিকাশ? বেকার সমস্যা নিয়ে জিতেন্দ্র চৌধুরী আরো বলেন, জনগণের টাকা খেয়ে জনগণকে মিথ্যা বুঝিয়ে বেকারদের মাথা খাচ্ছে তারা। যারা দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বিজেপি করছে তাদের এবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। আয়োজিত সভায় এদিন সিপিআইএম নেতৃত্ব সুধন দাস, অঞ্জন দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।