স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ ফেব্রুয়ারি : বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ৪০ তম আগরতলা বই মেলার পরিচালন কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, ডেপুটি মেয়র মনিকা দাস দত্ত, আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবল কুমার দে সহ অন্যান্যরা। বৈঠকগুলি করা হয় আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় গুলির সুরাহা করার। কোভিডের কারণে কিছুটা আর্থিক সমস্যা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও সরকার উৎসাহিত। ইন্টারনেটের জন্য সাহিত্য চর্চা ক্রমে কমছে। নাটকের জন্য বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নিয়ে হল দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে।
বিঝু নৃত্যের আরও প্রচার ঘটানোর প্রস্তাবও বিবেচনা করবে সরকার। চ্যালেঞ্চের মাধ্যমে সবটা সম্পন্ন করতে হবে। কোভীডের কারেন বেশ কিছু মেলা করা যায়নি। বই মেলা রাজ্যের মানুষের কাছে বিশেষ উৎসব। এবারের থিম আমাদের ত্রিপুরা, আমাদের গর্ব। পুস্তক বিক্রেতাদের সমস্ত দাবি রাখা সম্ভব হয়না। কিন্তু তারপরেও তাদের প্রতি আন্তরিক সরকার। সাহিত্য রাজ্যের একটা মাইলস্টোন। বিশেষ করে বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের চর্চা বাংলা থেকে আগে ত্রিপুরাতেই শুরু হয় বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। সাহিত্য ও সংস্কৃতি রক্ষার একটা প্রচেষ্টা হল এই বই মেলা। সাংস্কৃতিক আত্ম নির্ভরতা অত্যন্ত জরুরী বলে জানান তিনি। আগামী ২৫ মার্চ থেকে শুরু হবে আগরতলা বই মেলা। জেলা ভিত্তিক বই মেলা কটা জেলাতে করা সম্ভব হবে তা নিয়ে বৈঠক হবে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সুষ্ঠ সংস্কৃতিকে বাচিয়ে রাখতে হলে প্রত্যেক সঙ্গে নিয়ে চলতে। তাদের সাধ্যকে মান্যতা দিতে হবে। বই মেলার উদ্বোধন ও সমাপ্তি যাতে ভালোভাবে করা যায় তার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।