স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ ফেব্রুয়ারি : রাজধানীর দুর্জয়নগর হোলিক্রস স্কুলের এক শিক্ষিকা স্কুলের এক ছাত্রর উপর মানসিক চাপ দিয়ে হাতে থাকা ওমকারের বন্ধনী খুলে নেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুর্জয়নগর হোলিক্রস স্কুলে বজরং দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বজরং দলের রাজ্য সংযোজক টুটন সাহা। তিনি জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা যদি যীশু খ্রিস্টের বন্ধনী পরিধান করে পড়ুয়াদের পাঠ দান করতে পারেন, তাহলে পড়ুয়ারা কেন তাদের পছন্দ মতো বন্ধনী পরিধান করতে পারবে না।
এই নিয়ে বজরং দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল এইদিন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের সাথে দেখা করেন। এই সমস্যার সমাধান না হলে বজরং দল আইনের দ্বারস্থ হবে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে ছাত্রের বাবা মনোজ নাথ জানান, সোমবার বাড়ি যাওয়ার পর ছেলে জানিয়েছে স্কুলের শিক্ষিকা সোনালী ম্যাডাম নাকি তার হাতের বন্ধনীটি খোলার জন্য। এবং বলেন এটা জ্যাসসের জায়গা, এখানে রাম চলবে না -এই কথা বলে বন্ধনী নিয়ে যায়। ক্লাসের অন্যান্য ছাত্ররা ভয় পেয়ে তাদের বন্ধনী লুকিয়ে ফেলে। এই শিক্ষিকা নাকি গত একমাস আগেও এ ধরনের কান্ড স্কুলের সংগঠিত করেছে।
এতে করে প্রসঙ্গ আসছে ভারত বর্ষ তো একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কেন এ ধরনের ব্যারিকেড স্কুলের মধ্যে তৈরি করা হচ্ছে? স্কুল থেকেই ছেলে মেয়েরা তাদের সংস্কৃতি গ্রহণ করে। কিন্তু স্কুলে যদি এ ধরনের সমস্যা হয় তাহলে ছাত্র-ছাত্রী সংস্কৃতি কোথা থেকে গ্রহণ করবে? তিনি এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি আরো বলেন, বড়দিন যেহেতু আমরা সব অংশের মানুষই পালন করে থাকি তাহলে কেন এই স্কুলে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয় না? ছাত্র-ছাত্রীরা সরস্বতী পূজার আয়োজন করতে চাইলে তাদের দেয় না। এবং তিনি বলেন যদি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভালো না লাগে তাহলে তারা নাই করতে পারেন সরস্বতী পূজা, কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের কেন সরস্বতী পূজা করতে দেওয়া হয় না? তাই এ ধরনের সংকীর্ণ চিন্তাভাবনা থেকে বের হয়ে বিদ্যালয়ের সংস্কৃতি ভারতবর্ষের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।