স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ফেব্রুয়ারি। বড়দা ছোড়দা যুগলবন্দি খবর স্যন্দন পত্রিকায় প্রকাশিত হতেই তদন্তের দাবি উঠেছে রাজ্য বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। সুষ্ঠু তদন্তের দাবি তুলে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি দিলেন বিধায়ক রতন ভৌমিক। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠিতে উল্লেখ করে বলেন, বড়দা ছোড়দা যুগলবন্দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে মার্কফেড চেয়ারম্যান ভয়ে অফিসে যান না। এমনটাই খবর প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি।
এবং এই খবরের শিরোনামে রাজ্য বিধানসভার সদস্য যিনি মার্কফেডের চেয়ারম্যান কৃষ্ণধন দাস সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে পেট্রোল পাম্প স্থাপনের দাবিদারদের থেকে উৎকোচ গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দাবিদারদের প্রদত্ত উৎকোচ ফেরত পাবার জন্য কাজের চাপের ভয়ে মার্কফেড চেয়ারম্যান বর্তমানে অফিসে যান না বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি সত্য হলে এটা ত্রিপুরা বিধানসভা এবং রাজ্য সরকারের উভয়পক্ষে মর্যাদাহানিকর বলে জানান তিনি। তাই দাবি জানানো হচ্ছে ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার সম্মুখে নিয়ে আসা দরকার। মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি তদন্তের ব্যবস্থা করবেন এবং প্রকৃত ঘটনা জনগণের সম্মুখে আনতে সাহায্য করবেন বলে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি প্রদান করে আশা ব্যক্ত করেছেন ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য রতন কুমার ভৌমিক।
উল্লেখ্য, বড়দা ছোড়দা বলতে বোঝানো হয়েছিল ত্রিপুরা মার্কফেডের কর্মী অনিল কুমার দাস এবং ছোড়দা হলেন বিধানসভার সদস্য কৃষ্ণধন দাস। অভিযোগ ছিল দুজনে মিলে মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের অনুমোদিত ২০ টি পেট্রোল পাম্প ত্রিপুরা মার্কফেডের মাধ্যমে রাজ্য স্থাপন করার পরিকল্পনার ফন্দিতে আঁটেন। যা বাস্তবে রাজ্যের আয়তন ট্রান্সপোর্টেশনের নিজেকে সম্পূর্ণভাবে অবাস্তব। ফলে দুজনেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে গিয়ে লুকোচুরি খেলতে শুরু করেছেন। পেট্রোল পাম্পের যারা দাবিদার ছিলেন তাদের কাছ থেকে অগ্রিম উৎকোচ গ্রহণ করেছে, যা প্রায় কোটি টাকার উপর।