স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি : গৃহবধুকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। বিলোনীয়া মহিলা থানায় মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত স্বামীর শাস্তি দাবি করেন গৃহবধূ। অভিযুক্ত স্বামীর নাম শম্ভু মজুমদার। তিনি পেশায় পঞ্চায়েতের জিআরএস কর্মী। বাড়ি নলুয়ার অভয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ২০১১ সালে বিলোনীয়া থানা এলাকার নলুয়া অভয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ও পেশায় অভয়নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের জি আর এস সম্ভু মজুমদারের সাথে পি আর বাড়ী থানার অন্তর্গত বড়পাথুরীর সুপর্না নন্দীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর কয়েক বছর তাদের সাংসারিক জীবন ভালো চলে। পরে শুরু হয় গৃহবধু সুপর্না নন্দী মজুমদারের উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন। ছেলের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা চিন্তা করে স্বামী শ্বশুর শ্বাশুড়ির নানা অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করতো সুপর্না।
এর মধ্যে সুপর্না জানতে পারে শম্ভু একাধিক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছে। বেশ কিছু অবৈধ অন্তরঙ্গের ছবি শম্ভুর অবৈধ সম্পর্কের সাথী শম্ভুর স্ত্রী সুপর্না নন্দী মজুমদারের মোবাইলে পাঠায়। অভিযোগ বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া মহিলা সুপর্নাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে অতিদ্রুত সে যেন শম্ভু মজুমদারকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। সুপর্না ডিভোর্স দিলেই জনৈক মহিলা শম্ভুকে বিয়ে করে সুখের শংসার করবে। বিষয়টি সম্পর্কে শম্ভুর স্ত্রী শম্ভুর কাছে জানতে চাইলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্য দিবালোকে শম্ভু সহ তার পরিবারের সদস্যরা শম্ভুর স্ত্রী অর্থাৎ সুপর্না নন্দী মজুমদারকে বাড়ীতে প্রচন্ড মারধর করে বলে অভিযোগ। নিজেকে বাঁচাতে রাস্তায় ছুটে এলে শম্ভু প্রকাশ্য রাস্তায় দৌড়ে তার স্ত্রীকে মারতে থাকে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঋষ্যমুখ ফাড়ির পুলিশ সুপর্নাকে তার স্বামী শম্ভুর হাত থেকে রক্ষা করে। পরে সুপর্না স্বামীর বাড়ীতে যেতে চাইলে তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয় নি বলে অভিযোগ। এমনকি তার মোবাইটি পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়। শম্ভুর স্ত্রী তাদের ৫ বছরের শিশু সন্তানটিকে আনতে চাইলে শম্ভু সহ তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বক শিশুটি আটকে রেখে সুপর্না নন্দী মজুমদারকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। গত শনিবার বিলোনীয়া মহিলা থানায় শম্ভু মজুমদার সহ শ্বশুর, শ্বাশুড়ির ও অনান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সুপর্না নন্দী মজুমদার। অবশেষে মঙ্গলবার বিলোনীয়া মহিলা থানার পুলিশ অভিযোগ রেজেষ্টি করে এবং মামলার তদন্ত শুরু করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।