স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি : আবারো জালিয়াতির শিকার হয়ে ত্রিপুরা ওবিসি কোঃ অপারেটিভ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন এক হতদরিদ্র ব্যক্তি। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সদর মহকুমার অন্তর্গত মধুবন ঝরঝরিয়া এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের ডাক যোগে অজয় ভৌমিকের হাতে ত্রিপুরা ওবিসি কো-অপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের তরফ থেকে একটি নোটিশ আসে, এই নোটিশে অজয় ভৌমিককে বলা হয়েছে আজ থেকে ১০ বছর আগে ওবিসি কর্পোরেশন থেকে নাকি ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল, আর দশ বছর পর এই ঋণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ২৪৪ টাকা।
তাই কর্পোরেশন থেকে অজয় ভৌমিককে নোটিশ আকারে বলা হয়েছে খুব শীঘ্রই যেন ঋণ পরিশোধ করা হয়। ঋণের এই নোটিশ পেয়ে অজয় ভৌমিকের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। এমনকি হতবাক হয়ে যায় অজয় ভৌমিক। তার অভিযোগ সে কোনদিন ওবিসি কর্পোরেশন থেকে ঋণ গ্রহণ করেন নি। কি কারনে তার নাম সহ এভাবে ওবিসি কর্পোরেশন নোটিশ পাঠিয়েছে তাও সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না। ঋণের নোটিশ পেয়ে দুশ্চিন্তায় সর্বত্র ছোটাছুটি করে বেড়াচ্ছেন অজয় ভৌমিক। তার সন্দেহ কেউ জালিয়াতি করে তার নাম ব্যবহার করে ওবিসি কর্পোরেশন থেকে ঋণ নিয়েছে, আর এখন সেই ঋনের নোটিশ এসেছে তার কাছে।
অজয় ভৌমিক আরো জানান সে লেখাপড়া জানেন না, এমনকি ওবিসি কর্পোরেশন কি সেটাও জানেন না। সে জানিয়েছে গত ১০ বছর আগে ব্যাংক একাউন্ট করে তাকে ঋণ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল মহেশখলা এলাকার বলাই নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু সে ঋণ নেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তাই তার সন্দেহ বলাই নামে ওই ব্যক্তিই অজয় ভৌমিকের নাম ব্যবহার করে ঋণ নিতে পারে। সেই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে অজয় ভৌমিক জিজ্ঞাসা করার পর তিনি জানান এই ধরনের ঋণ উনার নামে নেওয়া হয়নি।
তার অভিযোগ ওবিসি কর্পোরেশন যদি সঠিক তদন্ত করে ঋণ দিত তাহলে তাকে আজ এই সমস্যায় পড়তে হতো না বলে জানান। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে অজয় ভৌমিক আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন এদিন। তিনি দাবি জানান গোটা ঘটনাটি আইন যেন সুষ্ঠ তদন্ত করে এই ধরনের জালিয়াতির সাথে যুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তবে এখন দেখার বিষয় ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হলে কি বের হয়ে আসে।