Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্য১০ টি জেটি নির্মাণের জন্য মৌ-স্বাক্ষর

১০ টি জেটি নির্মাণের জন্য মৌ-স্বাক্ষর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ফেব্রুয়ারি : বিরোধীদের জল্পনা কল্পনা ও কটাক্ষের অবসান। নয়া মাইলফলক রাজ্যে। মঙ্গলবার রাজ্য অতিথি শালায় আই ডব্লিউ এ আই, এল পি এ আই এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মৌ স্বাক্ষর হয়। এই মৌ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ, বন্দর ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, মন্ত্রী প্রনজিৎ সিংহ রায়, টি আই ডি সি-র চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়, মুখ্য সচিব কুমার অলোক, স্বাস্থ্য সচিব জে কে সিনহা সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুরে নৌ বন্দরের উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য এই মৌশ্বাক্ষর হয়। এছাড়া গোমতী নদীতে ১০ টি জেটি নির্মাণের জন্য ২৫ কোটি টাকা আর্থিক মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়েই মৌ স্বাক্ষর হয় আই ডব্লিউ এ আই, এল পি এ আই এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে। পরে বাইরে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় জাহাজ, বন্দর ও জলপথ দপ্তরের মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জানান রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে এগিয়ে  চলেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা দেখাতে রাজ্য সরকার তার যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। তার জন্য রাজ্যের কর্মঠ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আই ডব্লিউ এ আই, এল পি এ আই এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে মৌ স্বাক্ষর হয়েছে। এতে গোমতী নদীতে ১০ টি জেটি নির্মাণ করা হবে। এতে করে জলপথে যোগাযোগ, জলপথে বাণিজ্য শুরু হবে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বানিজ্য অধিক গতি পাবে। ভারত সরকারের সহায়তায় এই জেটি গুলি নির্মাণ করা হবে। আশপাশের নদী গুলির উপর পরীক্ষা করা হবে। তার উপর ভিত্তি করেই আগামী দিনের পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি আরও জানান আয়ুষ মন্ত্রক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে ৫০ টি হেলথ ও ওয়েলনেস সেন্টার নির্মাণের জন্য আর্থিক সহায়তা করা হবে। রাজ্যে একটি নতুন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আয়ুষ হাসপাতাল নির্মাণ করার ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

 মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ধারাবাহিক উন্নয়ন ঘটছে । সমস্ত পরিকল্পনা গুলি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করাই হচ্ছে এই সরকারের মূল লক্ষ্য। সেই দিশাতে রাজ্য সরকার কাজ করছে। গোমতী নদীতে ড্রেজিং করার জন্য মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে। সোনামুড়া থেকে গোমতী নদী হয়ে উদয়পুর পর্যন্ত ১০ টি স্থানে জেটি নির্মাণ করা হবে। এতে করে জল পথে ৪০ কিলোমিটার রাস্তা খুলে যাবে। এতে ছোট নৌ চলাচল করতে পারবে। স্বস্তায় চলাচলের দিক উন্মোচন ঘটবে। তার সঙ্গে সোনামুড়া থেকে দাউদকান্দী পর্যন্ত জল পথের ৯০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৪০ কিলোমিটার ড্রেজিং করতে হবে। সেই বিসয়েও ৮০-২০ হারে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে অর্থ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। খুব তারাতারি এটা সম্ভব হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া ত্রিপুরার অন্যান্য নদী  দেও ও হাওড়াতে ড্রেজিং করে তা পার্মানেন্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতে করে বন্যার সম্ভাবনা থাকবে না বলে জানান তিনি। সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। আয়ুসের মাধ্যমে সহায়তা করার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা রাজ্যে আরও সুদীঢ় হবে। জলপথ পুরো দমে খুলে গেলে স্টীল ও সিমেন্ট আনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। আবার ভারত থেকে বড় মাত্রায় গম রপ্তানী করার ক্ষেত্রেও লাভ হবে। দুই দেশের বানিজ্যিক ক্ষেত্রের উন্নয়ন হবে বলে জানান তিনি। ত্রিপুরার উন্নয়নে গতি আসবে। সার্বিক ভাবে ত্রিপুরা লাভ বান হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

জল পথে ত্রিপুরা বেশী লাভবান হবে। কিন্তু মৈত্রী সেতুর ফলে চিটাগাং পৌছুনো যাবে মাত্র ৭০ কিলোমিটার পারি দিয়ে। এত কাছাকাছি সমুদ্র বন্দর উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্য কোন রাজ্যের মধ্যে নেই। এই চিটাগাং বন্দর খুলে গেলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের করিডোর হবে ত্রিপুরা। সেই দিশাতে রাজ্য, কেন্দ্রীয় ও বাংলাদেশ সরকার কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য