Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যট্রি অকশান সেন্টার চালু হতে চলেছে রাজ্যে

ট্রি অকশান সেন্টার চালু হতে চলেছে রাজ্যে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ জানুয়ারি : ত্রিপুরার চা বিশ্ব বাজারে পরিচিতি দেবার প্রচেষ্ঠায় রাজ্যে একটি ট্রি অকশান সেন্টার চালু হতে চলেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নিতি আয়োগের মাধ্যমে রাজ্যে এই সেন্টার চালু করার জন্য সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। শুক্রবার ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান চেয়ারম্যান সমীর আর এন. ঘোষ(এডভাইজার)।

 তিনি বলেন, দূর্গাবাড়ী স্থিত এই নিগমের সেন্ট্রাল টি প্রসেসিং ফ্যাক্টরীতে খুব শীঘ্রই চালু হবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত উৎপাদনকারী ও ব্যাবসায়ী থেকে করে সকল অংশের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এই সেন্টার চালু হলে সংশ্লিষ্ট সকলেই উপকৃত হবে।

দীর্ঘদিনের পরিবহন সমস্যা দূরীভূত হবে। রাজ্যে উৎপাদিত চায়ের গুনগত মান অনুসারে উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যাবে। কর্মসংস্থানের নুতন সুযোগ তৈরী হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ত্রিপুরার চায়ের আলাদা পরিচিতি লাভ হবে।

 রপ্তানির ক্ষেত্রে, ত্রিপুরার চা আলাদা ভাবে যুক্ত হতে পারবে। এই সেন্টার চালু করার জন্য ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা এবং প্রধানমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। আরো বলেন, এই শিল্পের সামগ্রিক অগ্রগতির স্বার্থে বর্তমান রাজ্য সরকার অনেক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করে চলেছেন। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী চা শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের চা শ্রমিকদের জমির অধিকার প্রদান করা হয়েছে। ট্রি ট্যুরিজমকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে টি এল আর অ্যাক্টকে সংশোধন করেছে। ত্রিপুরা চায়ের একটি লোগো চালু করা হয়েছে। এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চায়ের উপর কোর্স চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।ত্রিপুরায় চা শিল্পের ইতিহাস প্রায় ১০৮ বছরের পুরনো। প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ এই শিল্পের সাথে সরাসরি যুক্ত। প্রায় এক কোটি কেজি চা ত্রিপুরায় প্রতি বছর উৎপন্ন হয়। ভারতে উৎপাদিত চায়ের দশ শতাংশ ত্রিপুরায় উৎপন্ন হয়। চা উৎপাদনে ত্রিপুরা ভারতে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু চা শিল্পকে উন্নত করার কোনও চেষ্টা অতীতে পরিলক্ষিত হয়নি। ফলে ভালো মানের চা উৎপন্ন হওয়া সত্বেও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ত্রিপুরার চা বিশেষ পরিচিতি পায়নি। ২০১৮ সালের পর চা নিয়ে সরকার নতুন ভাবে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে। রেশন শপের মাধ্যমে ত্রিপুরার মানুষকে চা দেবার ব্যবস্থা হয়। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই দিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মানিক লাল দাস।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য