স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জানুয়ারি : ঘরে স্বামী সহ সন্তান ফেলে অবৈধ প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার পথে বিশালগড় অফিসটিলা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় স্বামীর হাতে আটক স্ত্রী সহ স্ত্রীর অবৈধ প্রেমিক। ঘটনা শনিবার দুপুর দেড়টার নাগাদ। এ ঘটনা ঘিরে আগরতলা – সাব্রুম জাতীয় সড়কে মহিলার স্বামী সহ অবৈধ প্রেমিকের মধ্যে সংঘর্ষ। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে বিশালগড় থানার পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে এসে মহিলার স্বামী সহ অবৈধ প্রেমিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। উক্ত ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতাল চত্বর এলাকা। জানা যায় বিশালগড় ধ্বজনগর এলাকার এক গাড়ি চালকের স্ত্রী দীর্ঘদিন বাড়িতে স্বামীর অবর্তমানে এলাকারই দুই সন্তানের বাবার সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। শনিবার ভালোবাসার টানে ঘরের স্বামী সহ সন্তান ফেলে অবৈধ প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পথে স্বামী টের পেয়ে যায়। সাথে সাথে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতাল চত্বরের সামনে স্ত্রী সহ অবৈধ প্রেমিককে আটক করে। যা নিয়ে রীতিমতো মহিলার স্বামী সহ অবৈধ প্রেমিকের মধ্যে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। পরবর্তী সময়ে উক্ত ঘটনা দেখতে পেয়ে আগরতলা সাব্রুম জাতীয় সড়কে জড়ো হতে থাকে এলাকার জনগণ। খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সকলকে আটক করে নিয়ে আসে থানায়। গৃহবধূর স্বামী জানায় অভিযুক্ত যুবক অর্থাৎ তার স্ত্রীর অবৈধ প্রেমিক বিশালগড় চন্দন নগরের বাসিন্দা। সে হৃদয় বলে পরিচিত। গৃহবধূর স্বামীর আরো দাবি, এ বিষয় নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা অবগত রয়েছে। আজও এই বিষয়ে মীমাংসা হয়েছে বলে জানান।
দীর্ঘ আট থেকে নয় মাস ধরে সে তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ প্রেম করে আসছিল। গৃহবধূ স্বামীর নাম জহির আলম মিয়া। এবং সেই যুবকের নাম হৃদয়। গৃহবধূর দাবি সে ছোট বোনের স্বামীর সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। তবে গৃহবধূর স্বামীর দাবি গৃহবধূ কোন বোন নেই। তার সাথে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। স্থানীয়রা হৃদয় এবং গৃহবধূ বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলে।