Thursday, May 29, 2025
বাড়িরাজ্যপুলিশের তুল্লা আদায় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাবন্দি

পুলিশের তুল্লা আদায় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরাবন্দি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জানুয়ারি : ১২ মাসে ১৩ বার মোটা অংকের বেতন পেয়েও স্বভাব যায় না কিছু ঘুষখোর পুলিশ অফিসারদের। এই ঘুষখোর পুলিশ অফিসারদের দৌলতে ভূলুণ্ঠিত রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত উদ্দি পরিধান করা রাজ্য পুলিশের মান-ইজ্জত। তা প্রমাণিত হল তেলিয়ামুড়া থানার শিবু প্রসাদ দেব নামে একটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের প্রসাদ নেওয়ার দৃশ্যে।

অভিযোগ তিনি নাকি নাকা পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ সংঘটিত করা গাড়ি চালকদের কাছ থেকে তোল্লা আদায় করেন। উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্টকে টার্গেট করে নিজের অবৈধ কামাইয়ের সাম্রাজ্য জাঁকিয়ে বসেছে। তিনি যেন থানার অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

 তার কৃতকর্মের মধ্য দিয়ে  রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন এই রাজ্যে কখনোই সম্ভব নয়। আর এটাই কি সেই রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত ত্রিপুরা পুলিশ ? প্রশ্ন এ রাজ্যের আমজনতার। সেই গুণধর অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরের হলেন শিবু প্রসাদ দেব, শিবু বর্তমানে কর্মরত আছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কার্যালয়ে। দীর্ঘ একটানা ৯-১০ বছর যাবত এই শিবু প্রসাদ দেব প্রথমে হাবিলদার এবং পরবর্তীতে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কার্যালয়ে নিযুক্ত থাকার সুবাদে তুল্লা আদায়ে রীতিমতো পি.এইচ.ডি  ডিগ্রী অর্জন করেছেন বলে সূত্রের খবর।

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শিবু তার পেটের খাই মেটানোর জন্য হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্ট ব্যাবহার করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে আসছে। তার সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় কিছু পুলিশ কর্মীও বলে সূত্রে খবর। যারা কিনা এই নাকা পয়েন্টে ডিউটি করতে ভালোবাসেন। মাঝেমধ্যে পকেট ভারি করার জন্য ওভারটাইম ডিউটিও করে থাকেন। বিভিন্নভাবে অবৈধ নেশা সামগ্রী বোঝাই গাড়ি গুলোকে ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে শিবু প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা পালন করছিল বলেই তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ নেশা সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে ততটা সফলতা মিলছিল না। তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কার্যালয় সূত্রে খবর, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসূন কান্তি ত্রিপুরার নাকের তলায় এই শিবু দিনের পর দিন তার অবৈধ তোল্লা বাণিজ্য কায়েম করে রেখেছিল।

তুল্লা আদায় করতে করতে শিবু বর্তমানে তুল্লার টাকায় বিশাল ইমারত তৈরি করেছে বলেও খবর। আর এই বিষয়ে আগের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকও ভালো করে অবগত ছিলেন। কিন্তু প্রসাদ যদি ভাগাভাগি হয় তাহলে মুখ খুলতে কেবা চায়। যাইহোক এরই মধ্যে তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের রদবদল হয়েছে, নতুন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বিভিন্ন সূত্র মারফত শিবুর কেচ্ছা কেলেঙ্কারি অনুধাবন করতে পেরে তাকে নাকার ডিউটি থেকে তুলে এনে এস.ডি.পি.ও অফিসে একপ্রকার পূনর্বাসন দিয়ে রেখেছে বলে খবর। কিন্তু তারপরেও অভিযুক্তের এই কর্মকান্ড। এ বিষয়ে শিববাবুর কাছে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোন জবাব দিতে পারেননি।

এমনকি ওনার নেমপ্লেট কোথায় সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এর কোন জবাব দেননি। এদিকে পুলিশ মহলে কান পাতলেই এই এ.এস.আই শিবু সহ একাংশ তোল্লা বাজ, ঘুষখোর পুলিশ কর্মীদের কেচ্ছা কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলো সামনে উঠে আসে। আপাতত যা খবর নতুন পুলিশ আধিকারিক শিবু সহ একাধিক তুল্লাবাজ পুলিশ কর্মীর কার্যকলাপকে রীতিমতো পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। তবে যেই প্রসূনকান্তি ত্রিপুরার গোটা ত্রিপুরার পুলিশ মহলকে রীতিমতো হাইলাইট করেছে, সেই প্রসূন কান্তি ত্রিপুরার নাকের তলায় তুল্লাবাজ শিবুর এই অবৈধ বাণিজ্যের পেছনে গভীর রহস্য থাকতে পারে বলে তেলিয়ামুড়া বাসীর ধারণা। দীর্ঘদিন ধরে তেলিয়ামুড়াকে ব্যাবহার করে বিভিন্ন প্রকার নেশা সামগ্রীর আদান-প্রদানের পেছনে যে শিবুর মতো একাংশ পুলিশ কর্মী বা আধিকারিক সরাসরি যুক্ত, তা রীতিমতো স্পষ্ট হয়ে গেছে। এখন দেখার এই ঘটনা কতটা তদন্ত হয়। নাকি প্রাক্তন সবকিছু শিবুর সব অভিযোগ ম্যানেজ করে দেন

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!