Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যকাজ করিয়ে বেতন না দেওয়ার জন্য পাতাল কন্যার জেলে যাওয়া উচিত, বললেন...

কাজ করিয়ে বেতন না দেওয়ার জন্য পাতাল কন্যার জেলে যাওয়া উচিত, বললেন টিআরপিসি’র কর্মচারীরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ জানুয়ারি : ত্রিপুরা রিহ্যাবিলেটেশন প্ল্যানটেশন কর্পোরেশনের কর্মচারীরা চলতি মাসের ৭ তারিখ পেরিয়ে গেলেও ডিসেম্বর মাসের বেতন পায়নি। ফলে ১২০ জন কর্মচারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের ভরণ পোষণ মহাসংকটের পড়েছে। এই বিষয় নিয়ে টি আর পি সি -র চেয়ারম্যান পাতাল কন্যাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে বাধ্য হয়েছেন টিআরপিসি -র কর্মচারী সংগঠন। রবিবার গোর্খাবস্তি স্থিত পিএন কমপ্লেক্সে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ থেকে এই হুশিয়ারিটি দিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ চৌধুরী।

 তিনি জানান, বিক্ষোভরত অধিকাংশ কর্মচারীরাই টি আর পি সি -তে নিয়মিত চাকরি করছেন। দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে চাকরি করে আসছেন তারা। সব সময় তাদের বেতন প্রতিমাসে ১ তারিখ হয়ে যায়। কিন্তু চলতি মাসে এখনো তাদের বেতন হয়নি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চেয়ারম্যান পাতাল কন্যা বলেছেন তাদের বেতন হবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীরা বলতে চায় ম্যাডাম ঘর থেকে পয়সা দেবে নাকি? কিন্তু কোথায় থেকে পয়সা দেবে সেটা কর্মচারীরা জানতে চায় না। কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেতন না দেওয়ার যে ঘোষণা তিনি জনসম্মুখে দিয়েছেন সেটা যদি কর্মচারীদের অগ্রিম জানা থাকতো তাহলে সেই ভিডিও কনফারেন্স বন্ধ করে দিত। কারণ ১২০ জন কর্মচারী কাউকে পাত্তা দেয় না। তাদের সাথে তিন লক্ষ জনজাতি রয়েছে। যারা বিজেপি সরকারকে দ্বিতীয়বার প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাই চেয়ারম্যান বলে বেতন আটকে যাবে সেটা তিনি ভুলে গেল পারেন।

টি আর পি সি -তে কোনরকম ভন্ডামীর জায়গা হবে না। গাড়ি চড়ে জনগণের পয়সা নষ্ট করবে এর কোন টাকা যাতে না দেওয়া হয় তার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার কথা স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে, নাহলে কাজ করবে না কর্মচারীরা। পাশাপাশি এই দিন তারা স্পষ্ট বলেন, অযথা পয়সা নষ্ট করা হচ্ছে টিআরপিসি -তে চেয়ারম্যান পাতাল কণ্যা। প্রয়োজন ছাড়া অর্থ ব্যয় হচ্ছে। সুতরাং কর্মচারীর পেটে ব্যথা দিয়ে তিনি এনজয় করবে সেটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কারণ এ বিষয়টা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে। এবং এ বিষয় নিয়ে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্যের কাছে গেলে তিনিও বলে দেন লড়াই করার জন্য, তাই তারা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান কর্মচারীরা। তারা আরো বলেন, ম্যাডাম পাতাল কন্যা দিল্লী থেকে জি এস রাথে নামে একজনকে নিয়ে এসেছে। এই ব্যক্তির কি পরিচয় সেটা কারোর জানা নেই। এবং এই ব্যক্তি কয়েদি হতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করলেন টি আর পি সি -র সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ চৌধুরী। তিনি বলেন এই ব্যক্তির কোন জায়গা নেই অফিসে।

 আর আসলে তাকে বেঁধে রাখা হবে। তিনি আরো জানান, আগামী সোমবার এমডি -কে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই বেতনের বিষয়ে একটি চরমপত্র দেওয়া হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেতন না দেওয়ার ঘোষনের জন্য পাতাল কন্যার জেলে যাওয়া উচিত। কারণ কর্মচারীদের দিয়ে কাজ করানোর পর বেতন দেবে না সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রয়োজনে কর্মচারীরা মানবাধিকার কমিশনের কড়া নাড়বে বলে জানান তিনি। বিশেষ করে ম্যাডামের দিল্লি থেকে আনা ব্যক্তিকে আগামী দিন টি আর পি সি -তে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ ডি সি -কে লন্ড ভন্ড করে এখন টিআরপিসি -কে ধ্বংস করতে এসেছে এই ব্যক্তি বলে অভিযোগ তুলে তিনি। তবে কর্মচারীদের কথায় এটা বাস্তব বর্তমান সরকারের আমলে বহু মানুষের এমন কিছু পদ মিলেছে যারা সেই পদের গুরুত্ব বুঝে না। শুধুমাত্র ৪০ – ৫০ লাখ টাকা দামের গাড়ি নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের দায়িত্ব পেয়ে গাড়ির সামনে সাজানো হয়েছে চেয়ারম্যানের প্লেট। তাদের জন্য রয়েছে আবার এসকট ব্যবস্থা। সরকারি কোষাগারের অর্থ এভাবেই জলাঞ্জলি হচ্ছে চেয়ারম্যানদের দ্বারা। জনগণের সেবা তো দূরের কথা, পদে বসে তাদের বিলাসবহুল জীবন কাটাচ্ছেন

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য