Thursday, April 18, 2024
বাড়িরাজ্যঅক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ অক্টোবর : এ জি এম সি ও জি বি পি হাসপাতালের জন্য বৃহস্পতিবার পি এম কেয়ারস ফান্ডের মাধ্যমে নির্মিত ১০০০ এল পি এম, পি এস এ অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধন করা হয়। অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিন অক্সিজেন প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা। উৎপাদনের বিষয়ে অবগত হন তিনি। এই অক্সিজেন প্ল্যান্টের উদ্বোধনের ফলে রাজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান বাড়বে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর জিবি হাসপাতালে সদ্য চালু হওয়া সিটিভিএস ও ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি বিভাগ পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে জিবি হাসপাতালের পরিষেবার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। সিটিভিএস ও ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি বিভাগ চিকিৎসারত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষে এ জি এম সি-র লেকচার হলে পি এম কেয়ারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারা দেশের জনতার জন্য পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্ট সমর্পণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে উত্তরাখন্ডের ঋসিকেশের এ আই আই এম এস- থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন বৃহস্পতিবার থেকে নব রাত্রীর সূচনা হয়েছে। একই সঙ্গে টোকিও অলিম্পিকে উত্তরাখন্ড থেকে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। এই দেবভূমি দেশের পতাকা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। এর জন্য উত্তরাখন্ডবাসীকে ধন্যবাদ ও শুচেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। এই দিনে  হিমালয়ের পুন্য ভুমিতে থাকা জীবনের সবচাইতে বড় উপলব্ধি বলেও জানান। উত্তরাখন্ডের দিব্য ধারা বহু মানুষের জীবন ধারা বদলে বড় ভূমিকা পালন করেছে।

২০ বছর আগে এদিন জনতার সেবা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মানুষের মধ্যে থেকে মানুষের সেবা করার যাত্রা বহু দশক থেকে চলে আসছিল। কিন্তু এই ধারায় ২০ বছর আগে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গুরুদায়িত্ব পান তিনি। উত্তরাখন্ডের গঠন হয় ২০০০ সালে। আর তাঁর জীবনের নতুন যাত্রা শুরু হয় ২০০১ সালে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কল্পনা তিনি আগে কখনো করেননি বলে জানান। ২০ বছরের অখন্ড যাত্রা এদিন ২১ বর্ষে পদার্পণ করল। এই সময়ে উত্তরাখন্ডের ভুমিতে থাকা বড় সৌভাগ্যের বিষয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোটি কোটি দেশবাসীর স্বার্থে কাজ করার সঙ্কল্প আরো দৃড় হয়েছে বলে জানান তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হয়েছে। অক্সিজেন প্ল্যান্টের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে সরকার। ১০০ বছরের এই সঙ্কটের মোকাবেলা ভারতবর্ষ জে সাহসিকতার সঙ্গে করছে – তা গোটা বিশ্বের মানুষ দেখছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব কম সময়ে ভারতবর্ষ জে সমস্ত সুবিধা তৈরি করেছে এটা দেশের সামর্থকে দেখায়। একটি টেস্টিং ল্যাব থেকে ৩ হাজার টেস্টিং ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের প্রান্তিক রাজ্য গুলিতে ভেন্টিলেটার পৌঁছে গেছে। করোনা ভ্যাক্সনের আবিষ্কার ও দ্রুত টিকা করনের ব্যবস্থা ভারত জে ভাবে করে দেখিয়েছে তা ভারতবর্ষের সঙ্কল্প শক্তি, সেবা ভাব , একতাঁর প্রতীক। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জন সংখ্যা একটা বড় ফ্যাক্টার ছিল। একই সঙ্গে ভৌগলিক অবস্থান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিয়েছিল। অক্সিজেন সাল্পাই ও ভ্যাকসিন প্রদান করা দেশের সামনে বার বার চ্যালেঞ্জ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ সফলতার উত্তীর্ণ করেছে দেশ। আগে ৯০০ ম্যাট্রিকটন অক্সিজেন উৎপাদন হত দেশে। করোনার সময় এই উৎপাদন ১০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা জে কোন দেশের জন্য অকল্পনীয় লক্ষ্য ছিল। কিন্তু ভারত তা করে দেখিয়েছে। উৎপাদন করলেই হবে না। তা পরিবহন করার জন্য বিশেষ ট্যাঙ্কারের প্রয়োজন ছিল। পূর্ব ভারতে সব চেয়ে বেশী অক্সিজেন তৈরি হয়।  কিন্তু এই পরিস্থিতিতে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ব্যাপক। এই অবস্থায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করা হয়েছে। ৬ টি অক্সিজেন ট্রেন চালানো হয়। বায়ু সেনার বিশেষ ভাবে সহায়তা করেছে। পি এম কেয়ারস ফাণ্ড থেকে দেশব্যাপী অক্সিজেন প্ল্যান্টের নির্মাণ করা হয়েছে। ১ লক্ষের বেশী অক্সিজেন কণসানট্রেটরের জন্য অর্থ প্রদান করা হয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে আরো শক্তিশালী করতে পিএসএ অক্সিজেন প্ল্যান্টের নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে ১১৫০ অক্সিজেন প্ল্যান্ট কাজ করা শুরু করে দিয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রতিটি জেলা পি এম কেয়ারের মাধ্যমে অক্সিজেন প্ল্যান্টের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে। ৪ হাজার নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট নির্মাণ হবে বলেও জানান তিনি।

ঘড়ে বসে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছেন অনেকেই অ্যাপ্সের মাধ্যমে। স্বশক্ত পরিকাঠামো আবশ্যক। প্রত্যেক রাজ্যে এই আই আই এম এস- পৌঁছে দেওয়ার কাজ হচ্ছে। ৬ টি থেকে ২২ টি এই আই আই এম এস- করার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। দেশের প্রতীটি জেলায় একটি মেডিক্যাল কলেজ করার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। বিগত সাত বছরে ১৭০ টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন প্রতিমা ভৌমিক, স্বাস্থ্য সচিব জে কে সিনহা, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ শুভাশিস দেববর্মা, জিবি হাসপাতালের এম এস ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য