স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ডিসেম্বর : চাকরি পাওয়ার পর শুধুমাত্র যতটুকু কাজ করার সেটাই করলাম, এমন চিন্তা ভাবনা থাকলে সার্থকতা লাভ করা যায় না। দেশাত্মবোধের ভাবনা থাকতে হবে। শনিবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এল ডি সি পোস্টে চাকরি প্রাপকদের হাতে নিযুক্তির অফার তুলে দেওয়ার পর এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা।
শনিবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এলডিসি পোস্টে চাকরি প্রাপকদের হাতে নিযুক্তির অফার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। বিভিন্ন দপ্তরে মোট ১ হাজার ২৮০ জনের হাতে এই নিযুক্তির অফার তুলে দেওয়া হয় এদিন। চাকরি প্রাপকদের হাতে অফার তুলে দেওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা জানিয়েছেন চাকরি পাওয়ার পর শুধুমাত্র যতটুকু কাজ করার ততটুকুই করলাম, এমন চিন্তা ভাবনা থাকলে সার্থকতা লাভ করা যায় না। প্রকৃত অর্থে দেশাত্মবোধের ভাবনা থাকতে হবে। আগে একটা সময়ে ফাইলে লেখালেখির মধ্য দিয়ে কাজকর্ম চলত। আর বর্তমান সময়ে সবকিছু ই – ফাইল এর মধ্য দিয়ে হচ্ছে। আর এটাই হচ্ছে কর্মযজ্ঞের গঠনতন্ত্র। আজ থেকে যারাই এই চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন আগামী দিনে মানুষ তাদের কাছেই যাবেন। তাদের মাধ্যমেই শুরু হবে ই – ফাইল। যা একে একে পৌঁছবে উপর মহল পর্যন্ত।
তাই ত্রিপুরা রাজ্যের ভবিষ্যৎ এখন তাদের হাতেই । বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কারণেই ত্রিপুরা রাজ্যের চেহারা বদলে গেছে। ত্রিপুরা রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি দিয়েছেন হীরা মডেল। সড়কপথে যোগাযোগ, রেলপথে যোগাযোগ,আকাশ পথে যোগাযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা সবকিছুই এখন উন্নত। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা আরো জানিয়েছেন দুর্নীতি মুক্ত রাজ্যের তালিকায় রয়েছে ত্রিপুরা। আর এমনটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর জন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন টেস্ট এবং রাজ্য দুটোই হতে হবে দুর্নীতিমুক্ত। আর এই দিশাতেই কাজ করে চলেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন সরকারি কর্মচারীদের রেফারি কিংবা আম্পায়াদের মত হওয়া উচিত। না এদিক না ওদিক। নিরপেক্ষ থাকা। শুধুমাত্র দেখা এবং কাজ করা। আগে একটা সময়ে সরকারি অফিসগুলোতে কাজকর্ম চলত বেলা তিনটা পর্যন্ত। এরপর হাঁটাহাঁটি হত মিছিলে। শুধুমাত্র স্লোগান ছিল দিতে হবে করতে হবে। আর এখন হচ্ছে উল্টোটা। চাওয়ার আগেই দিয়ে দিচ্ছে বর্তমান সরকার। তিনি আরো বলেন সকলকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু আত্মনির্ভর ভারত করতে গেলে যা যা করার তাই করা হচ্ছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়, মুখ্য সচিব জেকে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পিকে চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন দপ্তরের পদাধিকারীরা।