স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ডিসেম্বর : প্রধানমন্ত্রী মানেই বিভিন্ন যোজনা, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। শুধুমাত্র যোজনা কিংবা জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করাই নয়, এই সমস্ত যোজনা কিংবা প্রকল্পের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে একশ শতাংশ যাতে সিদ্ধিলাভ করা যায় এরই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার ভগৎ সিং যুব আবাসে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার উপর এক কর্মশালায় যোগ দিতে এসে এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা।
শনিবার আগরতলার ভগৎ সিং যুব আবাসে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা শীর্ষক একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এই কর্মশালার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা। ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য তথা উত্তর প্রদেশের কেবিনেট মন্ত্রী ধরমবীর প্রজাপতি, বিজেপির ত্রিপুরা প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মানেই হচ্ছে যোজনা, বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্প।
আর এই যোজনা কিংবা জনকল্যাণমূলক প্রকল্প শুধুমাত্র গ্রহণ করাই নয়। এগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একশ শতাংশ যাতে সিদ্ধিলাভ করা যায় সেই দিশাতেই কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর থেকেই প্রকৃত অর্থে গরিবদের উন্নয়ন শুরু হয়েছে। এর আগে যারাই সরকার পরিচালনা করতেন তাদের সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের নাম শোনা যেত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে গরিবদের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্পের বাস্তবায়ন হতে দেখা গেছে। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কথা যারা কেউ কখনো ভাবেননি, তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ভাবলেন এবং করেও দেখালেন। সমাজের এই পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকা অর্থরাশি বরাদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ম্যান পাওয়ারের কৌশলগত উন্নয়ন। কারণ সকলেই কাজ করে চলেছেন। কিন্তু কৌশলগত উন্নয়নকে উন্নত থেকে উন্নততর করার জন্যই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের পর প্রশিক্ষনার্থীদের পাঁচ শতাংশ সুদের হারে প্রথমে ১ লক্ষ টাকা এবং তারপর দু লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। এখান থেকেই শুরু আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার। প্রকৃত অর্থে গরিবরা আত্মনির্ভর হতে পারলে দেশ এবং রাজ্য দুটোই উন্নত হবে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই দিশাতেই কাজ করে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা এদিন আরো জানিয়েছেন বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। ত্রিপুরাতেও ষোলটার মত ভেন চলে এসেছে।
এদিন ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যান্য কার্যকর্তাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। রাজ্যের প্রায় সব কটি মহকুমা থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা এই কর্মশালায় অংশ নেয়।